হামলার দ্বিতীয় দিনেই ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের প্রধান বিমানবন্দর ও বিমানঘাঁটি দখলে নিয়ে নিয়েছে রাশিয়ান সেনারা। প্রায় ২০০ হেলিকপ্টার ব্যবহার করে অভিযান চালিয়ে ইউক্রেনের দুই শতাধিক সৈন্যকে হত্যার পর হোসটোমেল নামের ওই বিমান ঘাঁটি দখল নেয়া হয়েছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মেজর জেনারেল ইগোর কোনাশেনকোভ বরাত দিয়ে রাষ্ট্রায়ত্ত বার্তাসংস্থা ইন্টারফ্যাক্স শুক্রবার প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বিমানঘাঁটিটি দখল করতে সেনাবাহিনীর একটি পদাতিক ডিভিশন ব্যবহার করা হয়েছে।
হোসটোমেল বিমানবন্দর দখলে নেয়ায় ভারী সামরিক সরঞ্জাম এবং সৈন্য পরিবহনকারী রাশিয়ার বিমান অবতরণ করতে পারবে সেখানে। বিমানবন্দরটিতে দীর্ঘ রানওয়ে থাকায় রাশিয়া থেকে সরাসরি কিয়েভের ওই বিমানবন্দরে সৈন্য পরিবহন করা যাবে।
তবে এই অভিযানে রাশিয়ার কোনো সেনা নিহত হয়নি বলে দাবি করেছেন তিনি। যদিও ইউক্রেন পাল্টা দাবি করে বলেছে, হোসটোমেল বিমানবন্দরে সংঘর্ষে ব্যাপক রুশ সৈন্য হতাহত হয়েছে।
এর আগে রাশিয়ান সেনারা আন্তোনভ নামের একটি বিমান ঘাঁটিও দখল করে নেয়।
ওদিকে, কিয়েভ শহরের মেয়র বলেছেন, ইউক্রেনের রাজধানী এখন প্রতিরক্ষামূলক পর্যায়ে প্রবেশ করেছে।
ফরাসি বার্তাসংস্থা এএফপি বলেছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের নির্দেশে অভিযান শুরুর পর বৃহস্পতিবারই রুশ সৈন্যরা কিয়েভের উপকণ্ঠে পৌঁছায়। সেখানে পৌঁছানোর পর হেলিকপ্টার করে রাশিয়ার সৈন্যরা ওবোলোনস্কির কাছের একটি বিমানঘাঁটিতে হামলা চালায়। ওবোলোনস্কি কিয়েভের কেন্দ্রস্থল থেকে মাত্র ৯ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।