মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার ধূসর গ্রামে পরকীয়া সম্পর্কে সুফল হালদারের (২৫) সঙ্গে তারই বড় ভাইয়ের স্ত্রী পার্বতী হালদার (২৪) উধাও হয়ে গেছেন। বৃহস্পতিবার বিকালে তারা নিজ বাড়ি থেকে এক লাখ টাকা, গহনা ও দুই বছরের মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে গেছেন বলে স্বজনরা জানিয়েছেন।
ওই গ্রামের কালীপদ হালদারের ছোট ছেলে সুফল হালদার ও মেজো ছেলে বাবুলাল হালদারের স্ত্রী পার্বতী হালদার।
স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, পাঁচ বছর আগে পার্শ্ববর্তী খলসী গ্রামের অরুণ বিশ্বাসের মেয়ে পাবর্তীর সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় বাবুলালের। তাদের সংসারে তিন বছর আগে এক মেয়ের জন্ম হয়। বাবুলাল ঢাকায় কাঠের ফার্নিচার তৈরির কাজ করেন। স্ত্রী ও কন্যা শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে নিজ বাড়িতে থাকতেন। আর সুফল হালদার বাড়ি থেকেই মাছ ধরা ও কাঠমিস্ত্রির কাজ করতেন।
কিছুদিন ধরে সুফল ও পাবর্তী পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। দুই মাস আগে এনিয়ে বাড়িতে কলহও তৈরি হয়। ১৭/১৮ দিন আগে বাবুলাল ঢাকায় কর্মস্থলে যান।
বাবুলালের মা সন্ধ্যা রাণী হালদার বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সকালে সুফল ভুল বুঝিয়ে পোষ্ট অফিসে নিয়ে গিয়ে ডিপোজিটের এক লাখ টাকা উত্তোলন করে বাড়ি আসে। পার্বতীকে বাড়ি না পেয়ে খুঁজতে বের হয়ে যায় সে। এরপর থেকে সুফল ও পার্বতী ফোন বন্ধ রয়েছে। রাতেও তারা বাড়ি ফিরে আসেনি। আত্নীয়-স্বজন ও সম্ভাব্য স্থানে তাদের খুজাখুজি করা হচ্ছে।’
বাবুলাল জানান, ছোট ভাইয়ের সঙ্গে স্ত্রীর পরকীয়া টের পেয়ে শাসন করেছিলন। কথা বলতে নিষেধ করেছিলেন। তাদের উধাও হওয়ার খবর পেয়ে রাতেই বাড়ি এসে তাদের খুজাখুজি করছেন। কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। মায়ের এক লাখ টাকা, পার্বতীর নিজের গহনা ও মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে গেছে তারা। এ ব্যাপারে থানায় সাধারণ ডায়েরি করার প্রস্ততি নিচ্ছেন।
পার্বতীর বাবা অরুণ হালদার জানান, তার মেয়ে ও দেবরকে পাওয়া যাচ্ছে না। ফোনে জামাই ঘটনাটি জানিয়েছে। মেয়ে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি। তার খোঁজ করা হচ্ছে।