রাজধানীর গোপীবাগে বেনাপোল এক্সপ্রেসে আগুনে পাঁচটি বগি পুড়ে গেছে। এ পর্যন্ত চারজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। বেশ কয়েকজন দগ্ধ হয়েছেন। তাদের ঢাকা মেডিকেল (ঢামেক) কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বগির ভেতরে এখনো উদ্ধার কাজ চালাচ্ছেন ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা।
নিহত একজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তার নাম নাতাশা জেসমিন (২৫)। একই ঘটনায় তার স্বামী আসিফ মো. খান দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাদের বাড়ি পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ায়। ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে ট্রেনে উঠেছিলেন।
স্বজনরা জানিয়েছেন, আসিফ মো. খানকে (৩০) শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। তার স্ত্রী নাতাশা জেসমিন আগুনে পুড়ে মারা গেছেন। পথচারীরা আসিফকে উদ্ধার করে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসেন।
বার্ন ইনস্টিটিউটে আসিফের বাবা সিদ্দিকুর খান বলেন, ‘ঢাকার গেন্ডারিয়া শরৎগুপ্ত রোডে তাদের বাড়ি। আসিফ ভাঙ্গা থেকে স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকায় ফেরার পথে ট্রেনে আগুন লাগে। এতে তার স্ত্রী মারা গেছেন। আসিফ দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন। তবে তার অবস্থা গুরুতর নয়। ’
বার্ন ইনস্টিটিউটের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, আসিফের ৮ শতাংশ পুড়ে গেছে। জরুরি বিভাগে তার চিকিৎসা চলছে।
ঢাকা রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারোয়ার বলেন, ‘বেনাপোল এক্সপ্রেসের ৫টি বগি একেবারে পুড়ে গেছে। ভয়াবহ অবস্থা! ভেতরে কী অবস্থা বলা যাচ্ছে না।’
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘আজ শুক্রবার রাত ৯টা ৫ মিনিটে গোপীবাগ এলাকায় চলন্ত ট্রেনে আগুন লাগার খবর পাই। আমাদের দুটি ইউনিট পাঠিয়েছি।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, আগুন লাগার পরপরই দাউ দাউ করে জ্বলে ওঠে ট্রেনটি। ট্রেনে কত যাত্রী ছিলেন তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে সেই আগুনে দগ্ধ হয়ে দুজন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
রেলওয়ে পুলিশের ঢাকা জেল পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে জানা গেছে ট্রেনের পাওয়ার কার থেকে আগুনের সূত্রপাত। এটি নাশকতা নাকি গোলযোগ বিষয়টি যাচাই করা হচ্ছে।’