করোনাভাইরাসের টিকা পাওয়ার জন্য অনলাইনে আবেদন করতে হবে জানিয়ে ঢাকার সিভিল সার্জন ডা. মঈনুল আহসান বলেছেন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী যাতে সহজে আবেদন করতে পারে সেজন্য ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) আইসিটি কেন্দ্রকে ব্যবহারের চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সিভিল সার্জন কার্যালয়ে ‘অ্যাওয়ারনেস অন প্রিভেনশন অব সিডিসি (কভিড-১৯, ডেঙ্গু)’ শীর্ষক এক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।
সিভিল সার্জন বলেন, করোনার টিকা প্রদানের ড়্গেত্রে আমরা জেলা ও উপজেলার কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেব। আর সংরক্ষণের জন্য আমাদের ব্যবস্থা আগে থেকেই আছে। এছাড়া জেলা পর্যন্ত সরবরাহকারীরাই ভ্যাকসিন পৌঁছে দেবে। অন্য ভ্যাকসিনগুলো সাধারণত অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর অনুমোদন পায়। কিন্তু করোনার ভ্যাকসিনে এত সময় পাওয়া যায়নি। তাই বিশ্বব্যাপী এ ভ্যাকসিন নিয়ে একটা ভীতি আছে। এজন্য রানী এলিজাবেথ, সৌদি বাদশাহ জনসম্মুখে ভ্যাকসিন নিয়েছেন। আমরাও চেষ্টা করব ভীতি দূর করতে ভলান্টিয়ারদের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের সামনে ভ্যাকসিন পুশ করাব। তারপরও যে কেউ চাইলে নিজেকে ভ্যাকসিন গ্রহণ থেকে প্রত্যাহার করে নিতে পারবে।
তিনি আরও বলেন, প্রথমে আমরা শুধু স্বাস্থ্যকর্মীদের ভ্যাকসিন দেব। এরপর ফ্রন্টলাইনারদের। একজনকে ভ্যাকসিন দেওয়ার পর অন্তত ৩০ মিনিট তাকে পর্যবেক্ষণে রাখব। একটি ডোজ দেওয়ার পরবর্তী দুই মাস পরে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে। এ সময়ের মধ্যে প্রথম পর্যায়ের সবার প্রথম ডোজ দেওয়া সম্ভব হবে। এছাড়া নিয়মিত আমরা খোঁজখবর রাখছি। যদি ভ্যাকসিন প্রয়োগের পর বিশ্বের কোথাও জটিলতার সৃষ্টি হয় তাহলে জাতীয় কমিটি এটার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে।
এক প্রশ্নের জবাবে ডা. আহসান বলেন, আপাতত আমরা অক্সফোর্ডের ফর্মুলায় তৈরি ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের ভ্যাকসিন নিচ্ছি। তবে গেস্নাব বায়োটেকের ভ্যাকসিন যদি অনুমোদন পায় তাহলে সেটার বিষয়ে আমরা বিবেচনা করব। আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিনামূল্যে আমাদের যে ভ্যাকসিন দেবে সেটা যদি ফাইজারের হয় তাহলে সেটার সংরক্ষণের ব্যবস্থাও আমাদের আছে।
ডেঙ্গু প্রসঙ্গে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. ঝুমানা আশরাফি সুইটি বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তিকে অবশ্যই মশারির মধ্যে রাখতে হবে। আমরা এ ড়্গেত্রে অবহেলা করি। আমাদের সবার এটা জানতে হবে, ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তিকে যদি সাধারণ মশাও কামড়ায় তাহলে ওই মশাও ডেঙ্গুর ভাইরাস বহন করে।