চীন ও রাশিয়া এশীয়-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ফের যৌথ মহড়া চালিয়েছে। এটি দুই দেশের দ্বিতীয় যৌথ কৌশলগত টহল।
যৌথ টহলে চীনের চারটি এইচ-সিক্স কে বোমারু বিমান এবং রাশিয়ার দুটি টিইউ-৯৫ বোমারু বিমান অংশ নেয়। জাপান সাগর ও পূর্ব চীন সাগরে দুই দেশ এই যৌথ টহল দেয়। তবে টহলের সময় কোনো বিদেশি আকাশ সীমায় প্রবেশ করা হয়নি বলে জানিয়েছে গ্লোবাল টাইমস।
এর আগে গত বছর জুলাই মাসে চীন ও রাশিয়া এই অঞ্চলেই প্রথম যৌথ টহলে অংশ নেয়।
দক্ষিণ চীন সাগর ও ভারত সীমান্তে চীনের সেনা উপস্থিতি বাড়ানো অনেক বিশ্লেষককে উদ্বিগ্ন করে তুলেছে যে চীন যুদ্ধের মতো কোনো সামরিক পদক্ষেপের দিকে এগোচ্ছে। চীনের এসব পদক্ষেপের কথা মাথায় রেখেই অস্ট্রেলিয়া ধীরে ধীরে সামরিক বাহিনীকে আধুনিক করে তুলছে। তারা ফ্রান্স থেকে আধুনিক সাবমেরিন আনছে, যুক্তরাষ্ট্রের অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানের প্রথম চালান ইতিমধ্যে পেয়েও গেছে। পাশাপাশি ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে নৌবাহিনীকেও শক্তিশালী করছে।
যুক্তরাষ্ট্রের এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের প্রধান অংশীদার অস্ট্রেলিয়া। তাই অস্ট্রেলিয়ার নতুন কৌশলগত চিন্তাভাবনা দুই দেশের সহযোগিতার কেন্দ্রবিন্দুতেই রয়েছে। গোয়েন্দা তথ্য আদান-প্রদান, অস্ট্রেলিয়ায় মার্কিন সেনাঘাঁটি, যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্র কেনা এখনো দেশ দুটির প্রধান যৌথ বিষয় হিসেবে বিবেচিত। আর যখন চীনের আঞ্চলিক প্রভাব প্রতিহত করার মতো কৌশলগত লক্ষ্য আসে, তখন তা তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।