নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় বিধি-নিষেধ আরোপ করে সরকার। সংক্রমণ পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় ১৪ জুলাই পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে বিধি-নিষেধ। চলমান বিধি-নিষেধ প্রতিপালনে কাজ করছে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি এবং সেনাবাহিনী।
এছাড়া রয়েছে ভ্রম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম। গত ১২ দিনে রাজধানীতে অপ্রয়োজনে বের হওয়ায় ৭ হাজার ৯৫২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
বিধি-নিষেধের ১২তম দিনে গ্রেপ্তার করা হয় ৬০৪ জনকে। এছাড়া ১৬৮ জনকে ২ লাখ ৬৩ হাজার ৯০০ টাকা জরিমানা করা হয় ডিএমপির ভ্রাম্যমাণ আদালতে এবং ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ ৭২৭টি গাড়ির চালককে ১৫ লাখ ৬২ হাজার টাকা জরিমানা করে। এ তথ্য জানান ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) ইফতেখায়রুল ইসলাম।
বিধি-নিষেধের শুরু থেকে গতকাল পর্যন্ত অপ্রয়োজনে বাইরে বের হয়ে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ানোর অভিযোগে ২ হাজার ৭৭৫ জনকে জরিমানা করা হয়। এতে ৩৪ লাখ ৪৪ হাজার ৫৩০ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ ৬ হাজার ৯৩টি গাড়ির চালককে ১ কোটি ৫৮ লাখ ৯৭ হাজার ৯২৫ টাকা জরিমানা করে।
শুরু থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কড়াকড়ি থাকলেও ক্রমে বেড়ে চলেছে মানুষের চলাচল। সড়কে অনেকটা নিয়ন্ত্রণ থাকলেও পাড়া-মহল্লায় ছিল না স্বাস্থ্যবিধি বা বিধি-নিষেধ মানার প্রবণতা। অধিকাংশ মানুষের অভিযোগ, তাদের জরিমানা বা গ্রেফতার করে হয়রানি করা হচ্ছে।
পুলিশ কাউকে হয়রানি করছে না, তারা সরকারের নির্দেশে বিধি-নিষেধ প্রতিপালনে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান ইফতেখায়রুল ইসলাম। তিনি বলেন, নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ এড়াতে বিধি-নিষেধ প্রতিপালনে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। জরিমানা বা গ্রেফতার করাই আমাদের উদ্দেশ্য না। মানুষজনকে সচেতন করে যাচ্ছি, এর পরও অনেকে যৌক্তিক কারণ ছাড়া বাইরে বের হয়, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।