মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার জাফরগঞ্জ বাজারে ডাকাতি হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে জুয়েলারসহ আট দোকান থেকে প্রায় ১৬ লাখ টাকার স্বর্ণ-রুপার স্বর্ণাঙ্কার, নগদ টাকা ও মালপত্র লুটে নিয়েছে সশস্ত্র ডাকাত দল। ডাকাতির পর থেকে ব্যবসায়ীদের মধ্যে বিরাজ করছে ক্ষোভ ও আতঙ্ক ।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ব্যবসায়ীরা জানান, রাত দেড়টার দিকে ৩৫/৪০ জন ডাকাত যমুনা নদীতে ট্রলারে এসে বাজারে হানা দেয়। চারজন পাহারাদারকে রশি দিয়ে বেধে বাজারের রশিদ মেম্বারের বেকারির ভেতর আটকে রাখে। এরপর সুশান্তের জুয়েলারি, রনজিত মালাকারের জুয়েলারি, তাপসের জুয়েলারি, লিয়াকতের ডাচ বাংলা ব্যাংকের এজেন্ট অফিস, জিন্নাহ মোল্লার মুদি, মতিনের টেলিকম ও আনোয়ারের টেলিকমের দোকানের তালা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে মালপত্র লুটপাট করে চলে যায়।
রনজিত মালাকারের কর্মচারী সুভাষ মালাকার জানান, ঘটনার সময় দোকানের ভেতর ঘুমিয়ে ছিলেন তিনি। সাটারের তালা ভেঙ্গে মুখোস পরা আটজন সশন্ত্র ডাকাত ঘরের ভেতর ঢুকে তাকে মারপিট করে রশি দিয়ে বেঁধে পাশের রশিদ মেম্বারের বেকারির ভেতর আটকে রাখে। দোকানের ভেতরের লোহার সিন্দুক ভেঙ্গে স্বর্ণ-রুপার অলঙ্কার লুটে নেয়।
রনজিত মালাকার জানান, ৬ ভরি স্বর্ণাঙ্কার ও ৬শ ৮০ ভরি রুপা লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাতরা। যার আনুমাণিক মূল্য ১২ লাখ টাকা।
সুশান্তের কর্মচারী ঝন্টু দাস জানান, তাদের দোকানে কেউ ছিল না। ডাকাতরা তালা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে। এরপর লোহার সিন্দুক ভেঙ্গে প্রায় আড়াই লাখ টাকার স্বর্ণ-রুপার অলঙ্কার লুটে নিয়ে গেছে।
তাপস জানান, দোকানের তালা ভেঙ্গে প্রায় দেড় লাখ টাকার স্বর্ণ-রুপার অলঙ্কার লুটে নিয়ে গেছে।
লিয়াকত আলী জানান, অফিসে ৪/৫ হাজার টাকা ছিল। এই টাকা ডাকাতরা লুটে নিয়েছে।
জাফরগঞ্জ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা জানিয়েছেন, ডাকাতরা ট্রলারে এসে বাজারের দোকানগুলোতে হানা দিয়ে প্রায় ১৬ লাখ টাকার স্বর্ণ-রুপার অলঙ্কার, নগদ টাকা লুটে নিয়ে গেছে। ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। এ ঘটনায় ব্যবসায়ীদের মধ্যে ক্ষোভ ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। এমনিতেই জাফরগঞ্জ বাজার যমুনা নদী তীরবর্তী। নদী পথে ডাকাতরা হানা দিলে সাধারণ মানুষের পক্ষে তেমন কিছু করার সম্ভব নয়। নদীত পুলিশের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা জরুরি বলে মনে করেন তিনি।
শিবালয় থানার ওসি শাহনুর আলম জানান, রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
দেখুন ভিডিওতে…