বরিশালে ভ্রাম্যমাণ আদালতে দণ্ডিত আইনজীবীর দণ্ড স্থগিত করে তাকে মুক্তির দাবি জানিয়ে আইন ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবরে আবেদন করা হয়েছে। একই সঙ্গে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ক্ষমতার অপব্যবহারকারী ও তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার লক্ষ্যে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের আবেদন জানানো হয়েছে।
রবিবার মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে ই-মেইলের মাধ্যমে নোটিশটি পাঠান আইনজীবীদের সংগঠন ন্যাশনাল ল’ ইয়ার্স কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট এস এম জুলফিকার আলী জুনু।
প্রসঙ্গত, শনিবার (২ মে) বরিশালে টিসিবির পণ্য বিক্রিতে বাধা দেয়া ও ট্যাগ অফিসারকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগে এক আইনজীবীকে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ দণ্ডাদেশ প্রদান করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নাজমুল হুদা। দণ্ডপ্রাপ্তের নাম অ্যাডভোকেট রবিউল ইসলাম রিপন। তিনি নগরীর ডেফুলিয়া এলাকার বাসিন্দা।
আবেদনে জুনু বলেন, পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারি যে, বরিশাল আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট রবিউল ইসলাম রিপনকে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৭দিনের সাজা দেন। পরে প্রকাশ্যে হাতকড়া পড়িয়ে অসম্মানজনকভাবে একজন আইনজীবীকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।
তিনি বলেন, উক্ত ভ্রাম্যমাণ আদালতে দেয়া সাজা মোবাইল কোর্ট আইন অনুয়ায়ী হয়নি। ওই আইনের বিভিন্ন ধারা লংঘন করে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অ্যাডভোকেট রবিউল ইসলাম রিপনকে সাজা প্রদান করা হয়েছে।
এতে বলা হয়, ন্যায় বিচারের স্বার্থে দণ্ডিত আইনজীবীর দণ্ড স্থগিত করে তাকে মুক্তি দিন। একই সঙ্গে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ক্ষমতার অপব্যবহারকারী ও তাদের সহযোগীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার লক্ষ্যে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হোক।
উল্লেখ্য, গত ২৯ এপ্রিল করোনা সংক্রমণ থেকে কারাবন্দীদের বাঁচাতে নির্বাহী আদেশে স্বল্প সাজা ও বিচারাধীন মামলার আসামিদের মুক্তির নির্দেশনা চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠিয়েছিলেন আইনজীবী জুনু। ইতিমধ্যে বেশকিছু কারাবন্দি আসামি নির্বাহী আদেশে মুক্তি পেয়েছেন।