দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিষেধের পর বাসা থেকে বের হচ্ছেন না আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তবে ব্যস্ত সময় পার করছেন বাসাতেই। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নেতাকর্মীদের সঙ্গেই আছেন। সরাসারি না, টেলিফোনে। ফোনেই প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দিচ্ছেন।
দলের তৃণমূল থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে রাখছেন ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ। প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিচ্ছেন তাদের। আবার অনেক কাজের তদারকি করছেন ঘরে বসেই।
বিশেষ করে করোনা মোকাবিলায় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে যেসব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে তা বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না সেদিকে নজর রাখছেন। অন্যদিকে মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গেও রয়েছে তার নিবিড় যোগাযোগ। বিশেষ করে পদ্মা সেতু প্রকল্পের কাজ তদারকি করছেন সবসময়।
এছাড়া নিজের নির্বাচনী এলাকার মানুষের খোঁজ-খবর নিতেও ভুলছেন না ওবায়দুল কাদের। প্রতিদিনই এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলছেন। বিশেষ করে করোনার কারণে যেসব পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে তাদের পাশে দাঁড়ানোর কাজটি সুচারুরূপে দেখভাল করছেন তিনি। স্থানীয় নেতাদের নানা নির্দেশনা দিচ্ছেন।
সরকারি সহায়তার পাশাপাশি ব্যক্তিগত উদ্যোগে নিয়মিত সহায়তা পাঠাচ্ছেন এলাকাবাসীর কাছে। তাদের সুবিধা-অসুবিধার কথা জানছেন নিয়মিত। প্রধানমন্ত্রীর নিষেধের আগ পর্যন্ত প্রতিদিন বাইরে বের হতে দেখা গেছে ওবায়দুল কাদেরকে। দুপুর ১২টার মধ্যে ধানমিন্ডতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে হাজির থাকতেন তিনি।
সেখানে কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়মিত বৈঠক করতেন। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতেন সমসাময়িক বিষয় নিয়ে। করোনা পরিস্থিতি জটিল হওয়ায় পর থেকে প্রেস কনফারেন্স বাদ দিয়ে শুধু বিটিভির মাধ্যমে কথা বলতেন তিনি। ওইসময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ওবায়দুল কাদেরকে বাইরে বের না হওয়ার পরামর্শ দেন। এরপর থেকে তিনি আর বের হচ্ছেন না।
৮ মার্চ থেকে দলের মাধ্যমে লিখিত বিবৃতি দিচ্ছেন তিনি। ওবায়দুল কাদেরের ঘনিষ্ঠরা জানান, টেলিফোনে নির্দেশনার পাশাপাশি তিনি বাসায় বই পড়ে ও টেলিভিশন দেখে সময় পার করছেন। প্রতিদিন কিছু সময়ের জন্য সংসদ ভবনের বাসার সামনে হাঁটাহাঁটি করেন।