চট্টগ্রামের ইপিজেড ও আতুরার ডিপো এলাকায় দু’টি গার্মেন্টস কারখানার শ্রমিকরা বকেয়া বেতন দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন। বুধবার সকালে এই অবরোধ ও বিক্ষোভ করেন শ্রমিকরা। এ সময় তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরিয়ে দেয় পুলিশ।
ইপিজেড থানার ওসি মো. নুরুল হুদা জানান, পদ্মা ওয়্যার গার্মেন্টসের দুই হাজারের মতো শ্রমিক রয়েছেন। আজ তাদের বেতন দেয়ার কথা ছিল। এজন্য সকাল থেকে কারখানার সামনে জড়ো হতে থাকেন শ্রমিকরা। মালিকপক্ষ থেকে বেতন পরে দেয়ার কথা বললে বিক্ষোভ শুরু করেন তারা।
সকাল সাড়ে আটটার দিকে ইপিজেড মোড়ে গিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন শ্রমিকরা। পুলিশ গিয়ে তাদের বুঝিয়ে ঘণ্টাখানেক পর সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়।
এদিকে বায়েজিদ থানার ওসি প্রিটন সরকার জানান, আতুরার ডিপো এলাকায় ইত্যাদি গার্মেন্টসের শ্রমিকরা সকালে বকেয়া বেতন নিতে আসেন। বেতন দেয়ার কথা থাকলেও মালিক তা পিছিয়ে দেন।
এতে শ্রমিকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে কারখানার সামনে রাস্তায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শ্রমিকদের বুঝিয়ে শান্ত করে।
প্রসঙ্গত, নভেল করোনাভাইরাসের মহামারীর মধ্যে বিশ্বের বড় একটি অংশে এখন ব্যবসা বাণিজ্য ও যোগাযোগ বন্ধ। বাংলাদেশেও সব অফিস আদালত ও যানবাহন চলাচল বন্ধ রেখে সবাইকে ঘরে থাকতে বলেছে। গার্মেন্ট মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএও সব পোশাক কারখানায় ছুটি ঘোষণা করেছে।
দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পোশাক কারখানাগুলোর শ্রমিকদের বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য ইতোমধ্যে পাঁচ হাজার কোটি টাকার একটি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে সরকার।
ওই তহবিলের টাকা গার্মেন্ট মালিকরা পাবেন ঋণ হিসেবে। যেসব কারখানা শ্রমিকদের বেতন-ভাতা নিয়মিত পরিশোধ করছে, তারাই এ তহবিলের অর্থ পাওয়ার জন্য বিবেচিত হবে।