করোনাভাইরাস (কভডি-১৯) শনাক্তকরণে নমুনা পরীক্ষা শুরু করেছে সাভারে অবস্থতি বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবষেণা ইনস্টিটিউট।
শনিবার থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রাপ্ত নমুনা পরীক্ষার কাজ শুরু করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন অত্যাধুনিক ল্যাব সুবধিা সমৃদ্ধ এ প্রতিষ্ঠানটি।
ধামরাই ও পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে প্রাপ্ত ১৯টি নমুনা পরীক্ষার কাজ ইতোমধ্যে শুরু করা হয়েছে এ প্রতিষ্ঠানে।
রিয়েল টাইম পিসিআর প্রযুক্তিসমৃদ্ধ দেশের অন্যতম বৃহত্তম এই বিএসএল-২ (বায়োসেইফটি লেভেল-২) ল্যাবে বায়োলজক্যিাল নিরাপত্তার সব ধরনের সুবিধা রয়েছে।
প্রতিদিন ৩০০টি নমুনা পরীক্ষা করার সক্ষমতা রয়েছে এই ল্যাবটির।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাস শনাক্তকরণে সাভার ও পার্শ্ববর্তী এলাকাসমূহ থেকে প্রাপ্ত নমুনা পরীক্ষার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তর গত ২০ এপ্রিল চিঠির মাধ্যমে প্রাণিসম্পদ গবষেণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালককে অনুরোধ জানায়।
পিসিআর কিট ও অন্যান্য লজিস্টিক স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সরবরাহ করবে বলে এই চিঠিতে জানানো হয়।
এর আগে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের উদ্যোগে করোনাভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার জন্য প্রাণিসম্পদ গবষেণা ইনস্টিটিউটের ল্যাবকে নির্বাচন করার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে অনুরোধ জানানো হয়।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাওয়া নমুনা সংগ্রহ, গবেষণাগারে প্রেরণ ও শনাক্তকরণ এবং ডাটা এন্ট্রি ও ডকুমেন্ট তৈরিসহ নমুনা শনাক্তকরণে সার্বিক কাজের জন্য ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী ও কর্মচারীদের সমন্বয়ে ১৪ সদস্যের একটি টিম এবং এ সংক্রান্ত পুরো কার্যক্রম সমন্বয়, তত্ত্বাবধান ও সহায়তা প্রদানের জন্য ছয় সদস্যের একটি মনিটরিং টিম গঠন করেছে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট।
এ প্রসঙ্গে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘করোনাভাইরাস মোকাবিলায় সরকারের সামগ্রিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের অত্যাধুনিক ল্যাবরেটরি করোনাভাইরাস নির্ণয়ে প্রস্তুত এবং চলমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় এটি গুরুত্বর্পূণ ভূমিকা পালন করবে।’