আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, হুংকার দিয়ে লাভ নেই। আপনাদের সব জারিজুরি ক্রমাগতভাবে ফাঁস হচ্ছে।
শনিবার নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে ৬ মহানগরীর মহাসমাবেশ কর্মসূচিকে দেশের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্টের ষড়যন্ত্র বলে ওবায়দুল কাদের শক্ত হাতে দমনের হুমকি দিয়েছেন। মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে জনরোষের ভয়ে ওবায়দুল কাদের সাহেবরা ঘরে বসে হুংকার দিচ্ছেন।’
তিনি বলেন, ‘এই হুংকার দিয়ে লাভ নেই। আপনাদের জারিজুরি সব ক্রমাগতভাবে ফাঁস হচ্ছে। জনগণের নিকট পরিষ্কার হয়ে গেছে- বর্তমান শাসন সম্পূর্ণরূপে গণতন্ত্রবিবর্জিত এবং মাফিয়াদের দ্বারা পরিচালিত।’
বিএনপি মুখপাত্র বলেন, ‘রাইট টু অ্যাসেম্বলি (সভা-সমাবেশ করার অধিকার) সংবিধান স্বীকৃত। গণতান্ত্রিক অধিকার হচ্ছে সভা-সমাবেশ করা। আর সেই সভা-সমাবেশ বন্ধ করার হুমকি কোনো রাজনৈতিক নেতা দিতে পারেন না, সেটি কেবল মাফিয়ারাই দিতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন গত নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থীরা। এই সমাবেশের উদ্দেশ্য নির্বাচনী অনিয়মের প্রতিবাদ করা এবং নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবি। এই বক্তব্যেই আওয়ামী সাধারণ সম্পাদক স্বভাবসুলভ হুমকির মাধ্যমে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করলেন। সমাবেশের কথা শুনে তিনি বিচলিত হয়ে পড়েছেন।’
রিজভী বলেন, ‘আসলে ওবায়দুল কাদের সাহেবরা এখন নিজেদের ছায়া দেখলেই ভয় পাচ্ছেন। এই ওবায়দুল কাদের সাহেবই যখন-তখন দেশে-বিদেশে ষড়যন্ত্রতত্ত্ব আবিষ্কারের ঘোষণা দেন এবং মানুষের কাছে তামাশার পাত্র হন।’
তিনি বলেন, ‘ওবায়দুল কাদেরের হুমকি জুলুমবাজ কর্তৃত্ববাদী শাসনেরই বহিঃপ্রকাশ। ক্ষমতার বেপরোয়া আস্ফালনে ওবায়দুল কাদেরদের বন্ধ্যা আত্মতৃপ্তির কথাকে মানুষ গুরুত্ব দেয় না। শুধু প্রধানমন্ত্রীর পদলেহন করতেই বিরোধী দলের প্রতি ওবায়দুল কাদের সাহেবরা এ ধরনের হুংকার দিয়ে থাকেন।’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, বিএনপিসহ বিরোধী দলের কোনো সমাবেশের কথা শুনলেই ওবায়দুল কাদের সাহেবদের কাঁপুনি ধরে। কারণ প্যান্ডোরাস বক্স খুলে গিয়ে সকল সত্যগুলো পুনরায় বের হতে থাকবে।
এ সময় তিনি বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে কারাবন্দী রাখার প্রতিবাদে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি সোমবার ঢাকা মহানগরসহ দেশব্যাপী সকল জেলা ও মহানগরে প্রতিবাদ সমাবেশ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।