1. admin@banglabahon.com : Md Sohel Reza :
মুক্ত, স্বাধীন ও দায়িত্বশীল গণমাধ্যম রাষ্ট্রকে এগিয়ে নেয়: তথ্যমন্ত্রী
বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ০২:৫৬ পূর্বাহ্ন

মুক্ত, স্বাধীন ও দায়িত্বশীল গণমাধ্যম রাষ্ট্রকে এগিয়ে নেয়: তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশ: রবিবার, ৩ মে, ২০২০
ছবি: তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ -ফাইল ছবি

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, রাষ্ট্রকে এগিয়ে নেয়া এবং বহুমাত্রিক সমাজ বিনির্মাণে মুক্ত, স্বাধীন ও দায়িত্বশীল গণমাধ্যমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

রবিবার বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে সচিবালয়ে নিজ দফতর থেকে অনলাইনে দেয়া সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে একথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, “আমরা মনে করি, মুক্ত, স্বাধীন ও একইসঙ্গে দায়িত্বশীল গণমাধ্যম রাষ্ট্রকে এগিয়ে নেয়া ও একটি বহুমাত্রিক সমাজ বিনির্মাণে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে সকল সাংবাদিক এবং গণমাধ্যমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান বলেন, ‘বাংলাদেশে সাংবাদিকরা এবং গণমাধ্যমের সঙ্গে যারা যুক্ত আছেন তারা, এই বৈশ্বিক দুর্যোগ করোনো পরিস্থিতির মধ্যে অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন। ইতোমধ্যেই আমাদের একজন সাংবাদিক বন্ধু হুমায়ুন কবীর খোকন দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মর্মান্তিকভাবে মারা গেছেন।”

হাছান মাহমুদ আরও বলেন, আমাদের সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতা ও অবাধ এবং মুক্ত গণমাধ্যমে বিশ্বাস করে। সেই কারণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পর বাংলাদেশে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটেছে।

তিনি বলেন, ‘২০০৯ সালে দৈনিক পত্রিকার সংখ্যা ছিল ৪৪৫টি, ২০২০ সালে এখন দৈনিক পত্রিকার সংখ্যা ১২৯৪টি। ২০০৯ সালে সাপ্তাহিক পত্রিকার সংখ্যা ছিল ২০৮টি, এখন সেটি ১২০৮টি।’

ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমের খতিয়ান দিয়ে ড. হাছান মাহমুদ জানান,‘ রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ২০০৯ সালে ছিল ২টি, এখন রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ৪টি। বেসরকারি টেলিভিশন ২০০৯ সালের শুরুতে ছিল ১০টি। আর এখন ৪৫টি বেসরকারি টেলিভিশনের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এফএম বেতার ২০০৯ সালে মাত্র চারটি ছিল। এখন ২৪টি এফএম বেতার কেন্দ্রের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগ সম্প্রচারে আছে। কমিউনিটি রেডিও ২০০৯ সালে একটিও ছিল না। এখন ৩২টি কমিউনিটি রেডিও অনুমোদন দেয়া আছে। এরমধ্যে অনেকগুলো সম্প্রচারে আছে।’

তিনি বলেন, “এই পরিসংখ্যানেই বলে যে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং তার সরকার গণমাধ্যমের অবাধ বিস্তৃতি এবং স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে। সে কারণেই গত ১১ বছরে বাংলাদেশে গণমাধ্যমের ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটেছে”।

এ সময় বিএনপি নেতা রিজভী আহমেদের সাম্প্রতিক মন্তব্যের প্রতি সাংবাদিকরা তার দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি রিজভী আহমেদের বক্তব্য দেখেছি। তিনি অসুস্থ ছিলেন, আরোগ্য লাভ করেছেন। এজন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি।

ড. হাছান বলেন, ‘এই মহাদুর্যোগের সময় রিজভী আহমেদসহ বিএনপি নেতারা ফটোসেশন এবং বিষোদগার ও মিথ্যাচারের রাজনীতি নিয়েই ব্যস্ত।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি নেতারা যাই বলুক না কেন, বিশ্ব করোনো পরিস্থিতির এই মহাদুর্যোগের সময় প্রধানমন্ত্রী যেভাবে দুর্যোগ মোকাবেলা করছেন, তা বিশ্বসম্প্রদায় কর্তৃক প্রশংসিত হয়েছে। বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম, ফোর্বস ম্যাগাজিন এমনকি ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনও তার নেতৃত্বের প্রশংসা করেছে।

ড. হাছান বলেন, ‘বিএনপির নেতারা প্রশংসার সংস্কৃতি লালন করেন না। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক, আর রিজভীর বক্তব্য উদভ্রান্তের প্রলাপ।’

শেয়ার করতে চাইলে...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ...
© বাংলা বাহন সকল অধিকার সংরক্ষিত ২০১৯-২০২৪।
ডিজাইন ও আইটি সাপোর্ট: বাংলা বাহন
error: Content is protected !!