আজ স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে মুক্তিযুদ্ধের শহীদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সকালে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে শহীদ বেদিতে প্রথমে রাষ্ট্রপতি ও পরে প্রধানমন্ত্রী পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে বীর শহীদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর চৌকস দল রাষ্ট্রীয় সালাম জানায় এবং বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে।
আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনা দলের পক্ষ থেকে দলীয় নেতাদের নিয়ে জাতীয় স্মৃতিসৌধে আরেকটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধান স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণের দর্শনার্থী বইতে স্বাক্ষর করেন।
এ সময় জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দ, আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের নেতা এবং উচ্চপদস্থ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে জাতীয় সংসদের স্পিকার ও প্রধান বিচারপতি জাতীয় সমাধিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
আজ ২৬ মার্চ, স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। বাঙালি জাতির জীবনে গৌরবোজ্জ্বল একটি দিন। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ‘অপারেশন সার্চলাইট’ নামে নৃশংস অভিযান চালায় পাকিস্তানি বাহিনী। অতর্কিত হামলায় নির্বিচারে গণহত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ করে হানাদার বাহিনী।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে বাংলার সর্বস্তরের জনগণ জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধভাবে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। নয় মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদের আত্মত্যাগ ও দুই লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে অর্জিত হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা। বিশ্ব মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের।
আজ সেই দুঃসাহসী ঘটনার ৫৩তম দিবস। শ্রদ্ধায় ভালোবাসায় স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করবে জাতি।
তথ্য ও ছবি: বাসস