1. admin@banglabahon.com : Md Sohel Reza :
ডিম ও ব্রয়লার মুরগির বাজারে অস্থিরতা
সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০২:৪৪ অপরাহ্ন

ডিম ও ব্রয়লার মুরগির বাজারে অস্থিরতা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশ: শুক্রবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩

এক মাস ধরে ডিম ও ব্রয়লার মুরগির বাজারে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। সরবরাহ ঠিক থাকলেও বাড়ছে দাম। সর্বশেষ সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি ডজন (১২ পিস) ফার্মের ডিমের দাম ১০ টাকা বেড়ে ১৫০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এ সময়ের মধ্যে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগির দাম ২০ টাকা বেড়ে ২২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

পাশাপাশি খুচরা বাজারে সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি ছোলা, ডাল, ভোজ্যতেল ও আটার দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে। ফলে এসব পণ্য কিনতে ক্রেতার বাড়তি টাকা ব্যয় করতে হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ানবাজার, মালিবাগ কাঁচাবাজার ও নয়াবাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

খুচরা বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বৃহস্পতিবার প্রতি হালি ফার্মের ডিম ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। যা গত সপ্তাহে ১৪০-১৪১ টাকা দাম ছিল। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২২০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ২০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

দাম বাড়ার বিষয়ে জানতে চাইলে কারওয়ানবাজারের খুচরা বিক্রেতা মো. নাজিম বলেন, বাজারে কিন্তু ডিম কিংবা মুরগির কোনো সংকট নেই। পাইকারি পর্যায়ে দাম বাড়ানোর কারণেই মূলত বাজারে এমন অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। এক দিনেই এমন অবস্থা করা হয়নি। ধাপে ধাপে দাম বৃদ্ধি করে অতি মুনাফা লুটে নেওয়া হচ্ছে।

বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে আরও জানা যায়, ভুচরা বাজারে প্রতি কেজি ছোলা বিক্রি হচ্ছে ৯৫ টাকা। যা সাত দিন আগেও ৯০ টাকা ছিল। ছোট দানার প্রতি কেজি মশুর ডাল ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা সাত দিন আগে ১৩৫ টাকা ছিল। প্রতি লিটার খোলা সয়াবিন তেল বিক্রি হয়েছে ১৭৫ টাকা। যা গত সপ্তাহে ১৭২ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি খোলা আটা ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। যা সাত দিন আগে বিক্রি হয়েছে ৫৮ টাকা।

রাজধানীর নয়াবাজারে পণ্য কিনতে আসা মো. জিসান বলেন, ভাবা যায়- বাজারে এখনই প্রতি কেজি ছোলা ৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে! যা গত রমজান মাসজুড়ে ৮০ টাকায় কিনেছি। দুই মাস আগেও যা দাম ছিল ৭৫ টাকা। রোজা আসার আগেই কেজিতে ২০ টাকা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সব ধরনের মাংসের দাম বাড়ানো হয়েছে। ব্রয়লার মুরগির কেজি কিনতে হচ্ছে ২২০ টাকা। এ কোন জায়গায় আমরা বসবাস করছি। আর কিছু জোগার করতে না পারলেও ডিম ভেজে ভাত খাব তারও উপায় নেই। এক পিস ডিমের দাম ১৩ টাকা। কিন্তু বাজারে পণ্যের দাম নিয়ে কোনো অনিয়ম হচ্ছে কিনা- এগুলো দেখার কেউ নেই। মনে হচ্ছে, তদারকি সংস্থাগুলো অসাধু ব্যবসায়ীদের পণ্যের দাম বাড়াতে সুযোগ দিচ্ছে। আর নিত্যপণ্যের আগুন দামে কপাল পুড়ছে ভোক্তার।

জানতে চাইলে বাজার তদারকি সংস্থা জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, বাজারে পণ্যের দাম সহনীয় রাখতে প্রতিদিন অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে তদারকি করা হচ্ছে। কোনো অনিয়ম পেলে সঙ্গে সঙ্গে অপরাধ ঠেকিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

তিনি জানান, শিগগিরই গত বছরের মতো ডিম ও ব্রয়লার মুরগির খুচরা বাজার, পাইকারি ও খামার পর্যায়ে অভিযান পরিচালনা করা হবে। কোনো অনিয়ম পেলে কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে।

শেয়ার করতে চাইলে...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ...
© বাংলা বাহন সকল অধিকার সংরক্ষিত ২০১৯-২০২৪।
ডিজাইন ও আইটি সাপোর্ট: বাংলা বাহন
error: Content is protected !!