1. admin@banglabahon.com : Md Sohel Reza :
গাইডলাইন চূড়ান্ত হওয়ার আগেই খুলেছে কারখানা
সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ১২:২৬ পূর্বাহ্ন

গাইডলাইন চূড়ান্ত হওয়ার আগেই খুলেছে কারখানা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশ: মঙ্গলবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২০

রবিবার থেকে তৈরি পোশাকসহ বেশ কিছু কলকারখানা চালু হয়েছে। করোনা সংক্রমণের কারণে এই কারখানাগুলো টানা এক মাস বন্ধ ছিল।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানা গেছে, সংক্রমণজনিত পরিস্থিতিতে সরকারি কোনো গাইডলাইন চূড়ান্ত হওয়ার আগেই কারখানাগুলো খুলেছে।

ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, আশুলিয়ার অনেক তৈরি পোশাক, ডায়িং কারখানা খোলা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ। চট্টগ্রামেও অনেক কারখানা খোলা হয়েছে। শিল্প পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, এই সব এলাকা মিলিয়ে এক হাজারের বেশি কারখানা খোলা হয়েছে।

বিজিএমইএ জানায়, প্রথমদিকে উৎপাদন ক্ষমতার ৩০ শতাংশ চালু করা হবে। পর্যায়ক্রমে তা বাড়ানো হবে।

গাইডলাইন প্রসঙ্গে বাংলাদেশের কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শিবনাথ রায় বলেন, “আইএলও, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর যেসব গাইডলাইন দিয়েছে, তার সঙ্গে বাংলাদেশের শ্রম আইন মিলিয়ে আলাপ আলোচনা করে আমরা একটি গাইডলাইনের খসড়া তৈরি করেছি।”

আরও বলেন, “সেটা এখন অনুমোদনের জন্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। অনুমোদন পাওয়া গেলে সেটাই কারখানা খোলার গাইডলাইন হিসেবে দেওয়া হবে।”

তৈরি পোশাক কারখানা খোলার ক্ষেত্রে বিজিএমইএ, বিকেএমইএ একটি গাইডলাইন দিয়েছে। সেটাকেই তারা এসব কারখানার জন্য যথাযথ বলে ধরে নিয়েছেন- জানান শিবনাথ রায়।

তবে তারা যে গাইডলাইনটি তৈরি করবেন, সেটি সব ধরনের কলকারখানার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।

গাইডলাইন তৈরিতে দেরির কারণ হিসেবে বলছেন, “তৈরি পোশাক কারখানাগুলো তো আগে খুলেছে। সেটার জন্য তারা একটি গাইডলাইন আগেই দিয়েছে। অন্যান্য কারখানা তো এখনো পুরোপুরি খোলা শুরু হয়নি। তার আগেই আমাদের গাইডলাইন তৈরি হয়ে যাবে।”

তিনি বলেন, কারখানা খোলার ক্ষেত্রে গাইডলাইন অনুসরণ করা না হলে আরসিসির (রেমিডিয়েশন কো-অর্ডিনেশন সেল) বিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে বিজিএমইএকে বলা হয়েছে।

এ দিকে বাংলাদেশি গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, অনেক কর্মী অভিযোগ করেছেন যে, তারা কারখানায় গিয়ে পানি পেলেও হাত ধোয়ার জন্য সাবান পাননি। যদিও বিজিএমইএ’র গাইডলাইনে এই বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশ ইন্সটিটিউট অব লেবার স্টাডিজ (বিলস) একজন পরিচালক কোহিনুর মাহমুদ বলছেন, করোনাভাইরাসের এই পরিস্থিতির মধ্যে সরকারিভাবে গাইডলাইন দেওয়ার আগেই কলকারখানা খোলা শুরু হওয়ায় তারা উদ্বিগ্ন বোধ করছেন।

তিনি বলেন, “আমরা শুনেছি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা মেনে তারা একটি গাইডলাইন তৈরি করেছেন। কিন্তু আমরা এখনো সেরকম কিছু দেখতে পাই। গার্মেন্টের যেসব খবর আমরা পাচ্ছি, সেখানেও দেখতে পাচ্ছি না যে, করোনাভাইরাসের বিষয়টিকে মাথায় রেখে কাজ করার, যেমন সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”

তবে বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক বলেন, “সব ধরনের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই আমরা কারখানা খুলতে শুরু করেছি। আমরা চাই না, কোনভাবেই আমাদের কোন কারখানায় একজন কর্মীও এই রোগে আক্রান্ত হোন। সে জন্য আমরা একটা গাইডলাইন করেছি, সব মালিককে সেটা মানতে হবে, তারা সেটা মানছেন। এটার বাস্তবায়ন নজরদারি করার জন্য আমরা কয়েকটি কমিটি গঠন করেছি, যারা সার্বক্ষণিকভাবে নজরদারি করছেন।”

ঢাকা মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও মেডিসিনের অধ্যাপক তোফায়েল আহমেদ বলেন, “ব্যবসাবাণিজ্যের স্বার্থে হয়তো একসময় আস্তে আস্তে সব অফিস-কলকারখানা খুলে দিতে হবে। তবে সেখানে যাতে যথাযথ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।”

আরও বলেন, এ জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়মকানুন মেনে অফিস, কলকারখানার জন্য একটা গাইডলাইন থাকা উচিত। প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকেই নিজেদের নিরাপত্তার জন্য, কর্মীদের নিরাপত্তার জন্য সেই গাইডলাইন যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে।

শেয়ার করতে চাইলে...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ...
© বাংলা বাহন সকল অধিকার সংরক্ষিত ২০১৯-২০২৪।
ডিজাইন ও আইটি সাপোর্ট: বাংলা বাহন
error: Content is protected !!