অভিনেতা পরীমণিকে ধর্ষণ ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগের মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ৮ জুলাইয়ের মধ্যে জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। মঙ্গলবার ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট (সিএমএম) এই নিদের্শ দেন।
ঢাকা জেলা পুলিশের পরিদর্শক মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ জানান, সাভার থানায় দায়ের করা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার এ সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে আদালত। ইতিমধ্যে এই মামলার প্রধান আসামি নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও অমিসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনেও মামলা করা হয়েছে।
এর আগে পরীমণি নাসির উদ্দিন মাহমুদসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা করেন। এরপর প্রধান আসামি নাসির ও অমিসহ মোট পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। তাদের কাছ থেকে মাদক ও ইয়াবা জব্দ করা হয়।
রবিবার রাতে বনানীর বাসায় সংবাদ সম্মেলনে পরীমণি বলেন, চার দিন আগে উত্তরা বোট ক্লাবে নাসির উদ্দিন মাহমুদ নামে এক ব্যক্তি তাকে ধর্ষণ ও হত্যার চেষ্টা চালান। তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়।
তিনি জানান, তার ব্যক্তিগত কস্টিউম ডিজাইনার জিমির বন্ধু ব্যবসায়ী অমির আমন্ত্রণে সেদিন জিমিকে সঙ্গে নিয়ে উত্তরা বোট ক্লাবে যান। সেখানে তাকে পানীয় গ্রহণ করতে বলা হয়। এরপর তার সঙ্গে অশালীন আচরণ শুরু করেন নাসির ইউ মাহমুদ। একপর্যায়ে শুরু হয় মারধর। এ সময় অমিকে নীরব থাকতে দেখা যায় বলেও দাবি করেন পরীমণি।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সেখানে অজ্ঞান হয়ে যান পরীমণি। এরপর রাত ২টা থেকে আড়াইটার দিকে তিনি সুস্থ হয়ে বনানী থানায় যান।
পরীমণি বলেন, “আমি সুইসাইড করার মতো মেয়ে নই। আমি সুইসাইড করতে চাই না। তারপরও যদি আমার মৃত্যু হয়, তাহলে তার জন্য সেই ব্যক্তিরা দায়ী থাকবে।”
আক্ষেপ করে এই জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা বলেন, “গত চার দিন ধরে আমি সাধারণ মেয়ে হিসেবে দ্বারে দ্বারে বিচার চেয়েছি, কিন্তু পাইনি। আজ তাই সংবাদ সম্মেলন ডেকেছি। আমি আজ বুঝতে পারছি, সাধারণ মেয়েদের অবস্থা কী হয়।”
এর আগে রাত ৮টার দিকে পরীমণি নিজের ভেরিফায়েড ফেইসবুক পেজে তাকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার বিচার চেয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে খোলা চিঠি লেখেন। চিঠিতে তিনি প্রধানমন্ত্রীর নিকট ন্যায্য বিচার প্রার্থনা করেন।