উপমহাদেশের প্রখ্যাত আলেম ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী আর নেই। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)
বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৬৭ বছর।
হাটহাজারী মাদ্রাসা সূত্র গণমাধ্যমকে জানায়, দীর্ঘদিন ধরে হৃদ্রোগ, কিডনি ও ডায়াবেটিসসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছিলেন এ ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব। চট্টগ্রামের একটি হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান জুনায়েদ বাবুনগরী। এর আগে বেলা ১১টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে চট্টগ্রাম নগরীতে আনা হয়।
চট্টগ্রামের ফটিকছড়ির বাবুনগর গ্রামে ১৯৫৩ সালের ৮ অক্টোবর জুনায়েদ বাবুনগরীর জন্ম। তিনি দেওবন্দি ইসলামি পণ্ডিত, শিক্ষাবিদ, লেখক, গবেষক, ইসলামি বক্তা ও আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব।
হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমিরের পদ ছাড়াও দারুল উলুম হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষাসচিব ও শায়খুল হাদিস, বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের সহসভাপতি, চট্টগ্রাম নুরানি তালিমুল কুরআন বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং মাসিক মুঈনুল ইসলামের প্রধান সম্পাদকে দায়িত্ব পালন করেন। যুক্ত ছিলেন আরও বেশ কিছু প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে।
২০১৩ সালের হেফাজত ইসলামের আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে কারাবরণ করেছিলেন জুনায়েদ বাবুনগরী।
২০১০ সালে তাকে মহাসচিব করে হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ২০২০ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর সংগঠনটির আমির শাহ আহমদ শফী মারা গেলে ১৫ নভেম্বর কেন্দ্রীয় সম্মেলনের মাধ্যমে আমির নির্বাচিত হন জুনায়েদ বাবুনগরী।
স্ত্রী, পাঁচ মেয়ে, এক ছেলেসহ অসংখ্য শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন তিনি।