মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার আঙ্গুরপাড়া গ্রামে শনিবার রাতে স্ত্রী ও দু’কন্যাকে গলা কেটে হত্যার পর আত্নহত্যার চেষ্টা করেছেন এক গ্রাম্য দত্ত চিকিৎসক। পুলিশ তাকে আটক করেছে।
নিহতরা হলেন- আসাদুজ্জামান রুবেলের স্ত্রী লাবনী আক্তার (৩৫), কন্যা ছোঁয়া আক্তার (১৬) ও কথা আক্তার (১২)।
স্বজন ও স্থানীয়রা জানায়, আসাদুজ্জামান পার্শ্ববর্তী বানিয়াজুরী বাজারে দন্ত চিকিৎসা করতেন। স্ত্রী ও কন্যাদের নিয়ে থাকতেন শ্বশুর বাড়ি। কিছু দিন ধরে ঋণগ্রস্ত হয়ে হতাশায় ভুগছিলেন। তা নিয়ে চলছিল দাম্পত্য কলহ।
আজ সকালে হালিমা বেগম জামাইয়ের ঘরে কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে দরজার শিকল খুলে ভেতরে ঢুকেন। এ সময় তিনি বিছানায় কন্যা ও দু’নাতনির গলা কাটা লাশ পড়ে থাকতে দেখে ডাক-চিৎকার করেন। প্রতিবেশীরা এসে তা দেখে পুলিশে খবর দেন।
এদিকে, হত্যাকাণ্ডের পর রুবেল পাশের ঢাকা আরিচা মহাসড়কের পাঁচুরিয়া এলাকায় আত্মহত্যার জন্য মহাসড়কে শুয়ে পড়েছিলেন। স্থানীয়রা তাকে পুলিশে সোপর্দ করে।
শিবালয় সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লাবণী আক্তার সাংবাদিকদের জানান, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আসাদুজ্জামানকে আটকে করে প্রাথমিকভাবে চিকিৎসাবাদ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।