সরকার হঁটাও আন্দোলন ‘ডু অর ডাই’ এক দফা হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে সার্বভৌমত্ব রক্ষা পরিষদের উদ্যোগে ‘সার্বভৌমত্ব ও গণতন্ত্র রক্ষা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘আমি আগে থাকব, আপনারা আমার পেছনে থাকবেন— সেই জায়গাটায় আসতে হবে। আমরা দীর্ঘকাল যদি ভালো থাকতে চাই, দেশের জনগণকে মুক্ত করতে চাই স্বল্প সময়ের জন্য একটা মরণ কামড় দিতে হবে। ডু অর ডাই— এক দফা। এর মাঝখানে এত কথা-বার্তার প্রয়োজন নাই। ডু অর ডাই-পরিস্কার কথা।’
তিনি বলেন, ‘হিরক রাজার দেশে- রশি ধরে মার টান, রাজা হবে খান খান। এই পথেই আমাদের হাঁটতে হবে। একদফার পথেই হাটতে হবে, মাঝ খানে অনেক কথা বলার দরকার নাই। এক দফা এক দাবি- হাসিনা তুই কবে যাবি। এটাই চলার পথ। এই পথেই গণতন্ত্রের মুক্তি, এই পথেই স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের মুক্তি, এই পথেই খালেদা জিয়ার মুক্তি, এই পথেই জনগনের মুক্তি, এই পথেই তারেক রহমানের নির্বিগ্নে স্বদেশ প্রত্যাবর্তানের যে পরিবেশ তৈরি সেই পথেই হবে।’
চিত্রনায়িকা পরীমনিকে নিয়ে জনদৃষ্টিকে ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করার সরকারি কৌশলের প্রসঙ্গ টেনে গয়েশ্বর বলেন, ‘দুর্বল সরকারকে ব্ল্যাকমেইল করা সবার পক্ষে সম্ভব, দেশের অভ্যন্তরে সম্ভব, বিদেশেও সম্ভব। এই নানা ধরনের কাহিনী বেরুচ্ছে। এক পরীমনির কাহিনী দিয়ে হাজার খদ্দের চুপ। পত্র-পত্রিকারও লাফাচ্ছে, সরকার কিছু বলছে না। আদালতও ধমকাচ্ছে- কেন রিমান্ড দিচ্ছেন কেন- এক পরীমনি। একপরীমনির মধ্যে তো পরীমনি সীমাবদ্ধ না। এই বাজারটা তো ছোট না। এই বাজারের খরিদদ্বার সব শেখ হাসিনার আশে-পাশে। সেই কারণে বেশিক্ষণ পরীমনিকে নিয়ে মজা করা সরকারের সম্ভব হবে না।’
সংগঠনের সভাপতি ওসমানী গণির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শরীফ হোসেনের পরিচালনায় আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।