করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে রাইড শেয়ারিং নিষিদ্ধের সরকারি সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সড়ক আটকে বিক্ষোভ করেছে মোটরসাইকেল চালকরা।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে তারা। এছাড়া বিধি-নিষেধ উপেক্ষা করে অনেকে যাত্রী পরিবহন করছে।
রাজধানী ঢাকার অন্তত পাঁচটি জায়গায়- ধানমন্ডি ২৭ নম্বর, প্রেসক্লাবের সামনে, আগারগাঁও, শাহবাগ এবং বাড্ডায় মোটরসাইকেল চালকরা রাস্তায় দাঁড়িয়ে যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।
মোটরসাইকেল চালকরা রাস্তায় বিক্ষোভে নামলে শহরজুড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়।
একজন মোটরসাইকেল চালক নূরে আলম বলেন, সরকারের বিধি-নিষেধ অনুযায়ী তাদের যাত্রী পরিবহন বন্ধ হলে তারা চরম আর্থিক সংকটে পড়বেন।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, ‘সব যানবাহন চলছে, তাহলে মোটরসাইকেলে যাত্রী পরিবহন করতে অসুবিধা কোথায়?’
করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিদ্যমান পরিস্থিতিতে রাইড শেয়ারিংয়ে মোটরসাইকেলে যাত্রী পরিবহনে নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা আসে বুধবার। এ নিষেধাজ্ঞা আপাতত দুই সপ্তাহের জন্য বা পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বহাল থাকবে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার হারুন অর রশীদ বলেন, বেলা পৌনে ১টা থেকে ১টা পর্যন্ত পাঠাও, উবারের চালকেরা শাহবাগ মোড়ে বিক্ষোভ করেন। এ সময় শাহবাগ মোড় দিয়ে সীমিত আকারে যান চলাচল করে।
এর আগে সকালে সময়মতো অফিস পৌঁছাতে বাসে উঠতে না পেরে রাজধানীর খিলক্ষেতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন যাত্রীরা। অর্ধেক যাত্রী পরিবহনের সিদ্ধান্ত থাকায় বাসে আসন পাননি তারা।
করোনা সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় অর্ধেক সিট খালি রেখে বাসসহ গণপরিবহন চলাচলে নির্দেশনা জারি করে সরকার। বুধবার থেকে এই নির্দেশনা কার্যকর হয়।