মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ ও যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্ব সম্প্রদায়। এই পদক্ষেপ থেকে সরে আসতে সামরিক বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সিলর অং সান সু চি ও প্রেসিডেন্টকে গ্রেপ্তারের পর মিয়ানমারের সেনা অভ্যুত্থানের ঘটনায় বেশ জোরালোভাবেই নিন্দা প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের সেক্রেটারি জেনারেল।
জাতিসংঘ মহাসচিবের মুখপাত্র স্টিফেন দুজারিক এক বিবৃতিতে এমনটাই জানিয়েছেন।
সেনা অভ্যুত্থানের নিন্দা যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, ওয়াশিংটন ‘সাম্প্রতিক নির্বাচনের ফল কিংবা মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক ক্ষমতা হস্তান্তরের বিকল্প যেকোনো পদক্ষেপের বিরুদ্ধে।’
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন সব সরকারি কর্মকর্তা এবং সুশীল সমাজের নেতাদের মুক্তির আহ্বান জানিয়েছেন এবং বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ‘গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, শান্তি এবং উন্নয়নের প্রতি বার্মার জনগণের আকাঙ্ক্ষাকে সমর্থন করে। সামরিক বাহিনীর তাদের পদক্ষেপ থেকে এখনই সরে আসা উচিত।’
অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রী মারিজ পেইনি বলেন, ‘আমরা আইনের শাসন মেনে চলতে, আইনি প্রক্রিয়ায় চলমান দ্বন্দ্বের নিষ্পত্তিতে এবং বেসামরিক সব নেতা ও অন্য যাদের বেআইনিভাবে আটক করা হয়ে সবাইকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে সামরিক বাহিনীকে আহ্বান জানাচ্ছি।’
মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচের জন সিফটন বলেন: ‘প্রথম বিষয়টি হচ্ছে যে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা যারা কয়েক দশক ধরে দেশটিকে শাসন করেছে, তারা কখনোই আসলে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ায়নি।’
‘তারা কখনোই বেসামরিক কর্তৃপক্ষের শাসন মেনে নেয়নি। আর তাই আজকের ঘটনা আসলে এতদিন ধরে চলা অবস্থারই প্রকাশ মাত্র’ যোগ করেন তিনি।
ইয়াঙ্গুনভিত্তিক ইতিহাসবিদ এবং লেখক থ্যান্ট মিয়ন্ত-ইউ বলেন, ‘ভিন্ন ধরনের একটি ভবিষ্যতের দরজা খুললো মাত্র। আমার মনে হচ্ছে, পরবর্তীতে যা ঘটতে যাচ্ছে তা আসলে কেউই নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না।’
সোমবার সকালে জরুরি অবস্থা জারি করে সশস্ত্র বাহিনীর প্রধানের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা জানিয়েছে সেনাবাহিনী।
সেনাবাহিনীর মালিকানাধীন টেলিভিশনে এক ভিডিও ভাষণে সিনিয়র জেনারেল মিং অং হ্লাইং জানান, গত বছরের সাধারণ নির্বাচনে কারচুপির জবাবে সরকারের জ্যেষ্ঠ নেতাদের তারা আটক করা হয়েছে।