বঙ্গন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ক্যাপ্টেন অবসরপ্রাপ্ত আব্দুল মাজেদকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) এ এম জুলফিকার হায়াত শুনানি শেষে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে রাজধানীর মিরপুর সাড়ে এগারো নম্বর থেকে গ্রেফতার করা হয় তাকে। এ দিকে খুনি আবদুল মাজেদ ২৩ বছর ধরে কলকাতায় অবস্থান করছিলেন বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছেন,ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের সরকারি কৌঁসুলি হেমায়েত উদ্দিন খান। গত ১৬ মার্চ তিনি ঢাকায় ফেরেন।
মঙ্গলবার বিকালে এক ভিডিওবার্তায় মাজেদের দণ্ড কার্যকর করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, আসামি মাজেদের গ্রেফতার দেশবাসীর জন্য মুজিববর্ষের শ্রেষ্ঠ উপহার। আশা করি আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা তার দণ্ডাদেশ কার্যকর করতে পারব। রাষ্ট্রের প্রধান আইনকর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন এটা সরকারের একটি বড় অর্জন।এখন মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পালা।
মাজেদকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে সিএমএম আদালতে হাজির করে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট। গ্রেফতারের বিষয়ে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পরিদর্শক জহুরুল হক আদালতে একটি প্রতিবেদন দেন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, গত রাতে (সোমবার) রাজধানীর গাবতলী বাসস্ট্যান্ডের সামনে থেকে রিকশায় করে সন্দেহজনকভাবে যাচ্ছিলেন একব্যক্তি (মাজেদ)। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার কথাবার্তা অসংলগ্ন মনে হয়। জিজ্ঞাসাবাদের মুখে তিনি স্বীকার করেন, তার নাম মাজেদ। তিনি বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত ও মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত খুনি।
এজলাসে উপস্থিত আইনজীবী আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের জানান, আদালতে মাজেদের পরনে ছিল সাদা পাঞ্জাবী ও পাজামা। তার ওপরে বুলেট প্রুফ ভেস্ট ও মাথায় হেলমেট ছিল। কঠগড়ায় তার মধ্যে কোনো প্রতিক্রিয়া বোঝা যায়নি। ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ তথ্য ও প্রসিকিউশন বিভাগের উপ-কমিশনার জাফর হোসেন জানান, আদালতে কোনো আইনজীবী মাজেদের পক্ষে দাঁড়াননি। তিনি বলেন, আদালতের আদেশের পরপরই মাজেদকে কেরানীগঞ্জে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়।