অন্তত দুই সপ্তাহ ‘পূর্ণ লকডাউন’ ছাড়া করোনাভাইরাসের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না বলে মত দিয়েছে কভিড-১৯ মোকাবিলায় গঠিত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি। এর পাশাপাশি বেসরকারিভাবে টিকা আমদানিসহ বেশ কিছু সুপারিশ প্রদান করে কমিটি।
শুক্রবার কারিগরি কমিটির এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সব তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, গত বুধবার রাতে কমিটির ৩০ তম সভা অনুষ্ঠিত হয়। ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ সহিদুল্লা। সভায় কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে বিস্তারিত আলোচনা শেষে বেশ কিছু সুপারিশ গৃহীত হয়।
যুক্তরাজ্যে ভ্যাকসিন দেওয়ার কার্যক্রম ফলপ্রসূ হয়েছে উল্লেখ করে কমিটির সুপারিশে বলা হয়, বাংলাদেশেও টিকা কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে ভ্যাকসিন সরবরাহ নিশ্চিত করা প্রয়োজন। এর জন্য সুনির্দিষ্ট নীতিমালার মধ্যে বেসরকারিভাবে ভ্যাকসিন আমদানি করে টিকাদানের জন্য আবারও সুপারিশ করেছে কমিটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারা দেশে উদ্বেগজনকভাবে কভিড-১৯ সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বাড়ছে। সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জনস্বাস্থ্য সম্পর্কিত ১৮টি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। পরবর্তীতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকেও করোনা নিয়ন্ত্রণে বিধিনিষেধ দেয়া হয়। কিন্তু এগুলো সঠিকভাবে মানা হচ্ছে না। ফলে সংক্রমণের হার বাড়ছে। বিধিনিষেধ আরও শক্তভাবে অনুসরণের সুপারিশ জানানো হয় এবং অন্তত দুই সপ্তাহের জন্য পূর্ণ লকডাউন ছাড়া এটা নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না বলে মতামত ব্যক্ত করা হয়।
কমিটির পক্ষ থেকে বলা হয়, শয্যা সংখ্যা, আইসিইউ সুবিধা, অক্সিজেন সরবরাহ বাড়ানোর জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সচেষ্ট। ডিএনসিসি হাসপাতাল আগামী সপ্তাহের মধ্যে চালু হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। সরকারি পর্যায়ের এই কার্যক্রম এর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হাসপাতালের রোগী ভর্তির বাড়তি চাপ থাকায় অতি দ্রুত আরও সক্ষমতা বাড়ানো প্রয়োজন।
সুপারিশে আরও বলা হয়, সংক্রমণের হার বাড়ায় করোনা পরীক্ষা কেন্দ্রগুলোতে রোগীর ভিড় বাড়ছে, রিপোর্ট পেতেও সময় লাগছে। যারা টেস্ট করতে আসছেন তাদের একটা বড় অংশ বিদেশগামী যাত্রী। বিদেশে অভিবাসী কর্মজীবী মানুষ ছাড়া অন্যান্য যাত্রীদের বেসরকারি পরীক্ষাগারে পাঠাতে পারলে সরকারি ল্যাবরেটরিতে চাপ কিছুটা কমবে। এতে করে রোগীদের পরীক্ষা ও রিপোর্ট দ্রুত প্রদান করে আইসোলেশন নিশ্চিত করা যাবে যা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।