মানিকগঞ্জের পাটুরিয়া, আরিচা ও রাজবাড়ির দৌলতদিয়া এলাকা দিয়ে বয়ে যাওয়া পদ্মা নদীতে বিশেষ অভিযান চালিয়েছে নৌ-পুলিশ। আজ দুপুরে নৌ-পুলিশের ফরিদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার আশিক সাঈদের নেতৃত্ব পাটুরিয়া নৌ-পুলিশ থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমান ও দৌলতদিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জেএম সিরাজ কবির সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে এই অভিযান চালান।
অভিযানে বালুবাহী দুইটি বাল্কহেড জব্দ ও এরসঙ্গে জড়িত চারজনকে আটক করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, নৌ-পুলিশের নিয়মিত টহলে কারণে মাদক পাচার, ডাকাতি, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, ড্রেজারে বালু উত্তোলন, ফেরিতে জুয়াসহ নদীপথে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড অনেকাংশে কমে গেছে। অবৈধ নৌযানের বিরুদ্ধেও নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এসব নৌযান ও মালিকদের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই আইনি ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছে। সম্প্রতি পদ্মা নদীতে পানি বেড়ে যাওয়ায় সৃষ্টি হয়েছে তীব্র স্রোতের। বিশেষ করে এ সময় ফিটনেসবিহীন ও অবৈধ নৌযান চলাচলে নৌপথ ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার শঙ্কা বেড়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে নৌপথ নিরাপদ ও অবৈধ নৌযানের বিরুদ্ধে নৌ-পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেছে।
অভিযান শেষে নৌ-পুলিশের ফরিদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার আশিক সাঈদ বলেন, ‘নৌপথে টহল নৌ-পুলিশের একটি চলমান প্রক্রিয়া। আজকের অভিযানে দুইটি বাল্কহেড আটক করা হয়েছে। তাদের কোন কাগজপত্র নেই। শুধু বাল্কহেড নয়। নদীতে চলাচলকারী লঞ্চ, ফেরিসহ সকল নৌযান, যাদের কাগজপত্র নেই। তাদের বিরুদ্ধে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।
ইতিমধ্যেই বাল্কহেডের ধাক্কায় ট্রলার ডুবির ঘটনা ঘটেছে। জানমালের ক্ষতি হয়েছে। এটি যাতে না হয়, এজন্য আমরা সতর্কমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। নদীতে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করে স্প্রিডবোর্ড যাতে চলাচল করতে না পারে সেজন্য নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
অতি সম্প্রতি নৌপথে ডাকাতির ঘটনায় মালামাল উদ্ধার ও নয় ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ফেরিতে জুয়া, ছিনতাই বন্ধ করা হয়েছে। অপরাধী যেই হোক, তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।’