আগের দিনের ধারাবাহিকতায় আজ বৃহস্পতিবার সকালেও লেনদেনের শুরুতে পুঁজিবাজারে দরপতন দেখা দেয়। লেনদেন হওয়া বেশির ভাগ শেয়ারের দর হ্রাসে বেলা সোয়া ১১টায় ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্য সূচকটি আগের দিনের চেয়ে ১৬ পয়েন্ট কমে যায়।
মূলত করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধিতে যে পতন ভীতি তৈরি হয়েছে, তাতে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের একটি অংশ শেয়ার বিক্রি করে দেওয়ায় বিক্রিচাপ তৈরি হয়েছিল।
এ ছাড়া বিদেশিরাও লাগাতার শেয়ার বিক্রি করায় সূচকে ঋণাত্মক প্রভাব পড়ে। তবে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে ব্যক্তিশ্রেণির বড় বিনিয়োগকারীদের পাশাপাশি কিছু প্রতিষ্ঠান শেয়ার কেনা শুরু করলে হারানো মূল্য সূচক পুনরুদ্ধার করে বাড়তি পয়েন্ট যোগ হয়।
পর্যালোচনায় দেখা যায়, আজ তালিকাভুক্ত বহুজাতিক কোম্পানিগুলোর বেশির ভাগের দর বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে ডিএসইর সেরা ৩০ কোম্পানির বেশির ভাগের দরও। লেনদেনের শীর্ষে থাকা কোম্পানিগুলোতে মিশ্র অবস্থা দেখা গেছে।
এ ছাড়া সূচকে প্রভাব বিস্তারকারী খাত ব্যাংক ও এনবিএফআইয়ে মিশ্র অবস্থা লক্ষ্য করা গেছে। ফার্মাসিউটিক্যালস, বিবিধ, প্রকৌশল, টেলিযোগাযোগ ও জ্বালানি খাতের বেশির ভাগের শেয়ার দর বেড়েছে।
আজ দুপুর সোয়া ১টা পর্যন্ত ডিএসইতে কেনাবেচা হওয়া সিকিউরিটিজের মধ্যে দর বেড়েছে ১৭৩টির, কমেছে ৪৬টির ও অপরিবর্তিত রয়েছে ১১৫টির দর।
শেয়ার দর অপরিবর্তিত থাকা কোম্পানিগুলোর অধিকাংশই দীর্ঘদিন ধরে ফ্লোর প্রাইসে আটকে আছে। আজ দুর্বল কোম্পানির পাশাপাশি বীমা খাতের শেয়ারের দর তুলনামূলক বেশি বাড়ছে।
বাজার সংশ্লিষ্টরা জানান, পুঁজিবাজারের মন্দার সময়ে দুর্বল কোম্পানির শেয়ারে কারসাজি দেখা যায়। এ সময়ে স্বল্প মূলধনী কোম্পানির শেয়ারেও বিনিয়োগকারীদের আগ্রহ বেশি থাকে।
এদিকে সূচক বাড়লেও লেনদেনের পরিমাণে তেমন উন্নতি দেখা যায়নি। বরং লেনদেনের পরিমাণ আগের দিনের তুলনায় আজ কিছুটা কমতে পারে বলে জানা গেছে।
বেলা সোয়া ১টা পর্যন্ত ডিএসইতে কেনাবেচা হয়েছে ৩২০ কোটি টাকা, যেখানে গতকাল পুরো লেনদেন সময়ে ৫৮০ কোটি টাকা কেনাবেচা হয়েছে।