নাটোরে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে আত্রাই নদীর পানি অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। ১৯৮৮সালের পর থেকে বিপদ সীমার ১০৫ সেন্টিমিটার পানি বৃদ্ধি পায়নি। কিন্তু সিংড়ার দ্বিতীয় দফার বন্যায় অতীতের সে রেকর্ড ভঙ্গ করে প্রতিদিনই অবনতি ঘটছে বন্যা পরিস্থিতির।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্র জানায়, ২০১৭ সালে সিংড়ায় বন্যার পানি সর্বোচ্চ ১০০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এরপর ২০২০ সালের প্রথম দফায় বন্যায় ৯৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এরপর অব্যাহত ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে হু হু করে সিংড়ার আত্রাই নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে থাকে।
বর্তমানে সিংড়া পৌরশহর, শেরকোল, কলম, চামারী, চৌগ্রাম ও তাজপুর ইউনিয়নের কয়েক লাখ মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এতে করে নিচু এলাকা নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। আমন ধান এবং সবজি খেত পানির নিচে ডুবে গেছে। বাড়ি-ঘর ছেড়ে পাঁচ শর বেশি পরিবার আশ্রয় কেন্দ্রে উঠেছে। প্রস্তুত রয়েছে ১৩ টি আশ্রয় কেন্দ্র। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৫০ পরিবারকে ত্রাণ প্রদান করা হয়েছে।
নাটোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী আল আসাদ বলেন, ২০১৭ সালের বন্যাকে ছাড়িয়ে গেছে সিংড়ার দ্বিতীয় দফার বন্যা। ২০১৭ সালে সর্বোচ্চ বিপদ সীমার ১০০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। কিন্তু দ্বিতীয় দফার বন্যায় সে রেকর্ড ভঙ্গ করে বুধবার ১০৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, আগামী শুক্রবার পর্যন্ত পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। মেঘলা আকাশ না কাটা পর্যন্ত পানি কমার সম্ভাবনা নাই। তা ছাড়া বৃষ্টি হলে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে।