1. admin@banglabahon.com : Md Sohel Reza :
খেলাপি ঋণে আরও ছাড়
শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৫১ অপরাহ্ন

খেলাপি ঋণে আরও ছাড়

অর্থনীতি প্রতিবেদক
  • প্রকাশ: বুধবার, ২৪ মার্চ, ২০২১
Bangladesh_Bank

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রভাব মোকাবেলায় খেলাপি ঋণের ক্ষেত্রে আরও এক দফা ছাড় দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তবে এবার মেয়াদি ঋণের সুদ পরিশোধ ও বাণিজ্যিক ঋণের কিস্তি পরিশোধের শর্ত আরোপ করা হয়েছে। বাড়ানো হয়েছে ঋণের মেয়াদ। ফলে ঋণ পরিশোধের সীমা বেড়েছে।

একই সঙ্গে বৃদ্ধি করা হয়েছে ঋণ খেলাপি না করার মেয়াদ। এর মধ্যে তলবি ঋণ পরিশোধের মেয়াদ ২১ মাস বেড়েছে। চলমান ঋণের মেয়াদ বেড়েছে ১৫ মাস। চলমান, তলবি ও মেয়াদি ঋণের মার্চ পর্যন্ত বকেয়া পরিশোধের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে তিন মাস।

এ বিষয়ে বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংক সার্কুলার জারি করে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে। এর আগে গত বছরে ঋণ খেলাপি না করার মেয়াদ তিন দফায় বাড়ানো হয়েছে। ১ জানুয়ারি থেকে ওই সুবিধা প্রত্যাহার করে শুধু মেয়াদি ঋণের কিস্তি পরিশোধের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল। তবে বাণিজ্যিক ঋণ নিয়মিতভাবে পরিশোধ করার কথা ছিল। নতুন সার্কুলারে সব ধরনের ঋণের কিস্তি ও সুদ পরিশোধের মেয়াদ বিভিন্ন হারে বাড়ানো হয়েছে।

এর আগে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে করোনার নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলা করতে ঋণ পরিশোধের সীমা আরও বাড়ানোর দাবি জানানো হয়েছিল। একই সঙ্গে তারা যেসব প্রণোদনা প্যাকেজগুলো বাস্তবায়িত হয়নি সেগুলোর মেয়াদও বাড়ানোর দাবি করে। ইতোমধ্যে এগুলোর মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।

সার্কুলারে বলা হয়, দেশের অর্থনীতিতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। আন্তর্জাতিক বাজারেও এর নেতিবাচক প্রভাব বেড়েছে। ফলে রপ্তানি বাণিজ্য কিছুটা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এ অবস্থায় ব্যাংকিং খাতে ঋণপ্রবাহ পর্যায়ক্রমে স্বাভাবিক করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়, যেসব চলমান ঋণের মেয়াদ ইতোমধ্যে অতিবাহিত হয়েছে এবং প্রচলিত নীতিমালার আওতায় নবায়ন করা হয়নি। সেসব ঋণের বিপরীতে অনাদায়ী সুদ চলতি মার্চ থেকে আগামী বছরের জুন পর্যন্ত ছয়টি সমান ত্রৈমাসিক কিস্তিতে পরিশোধ করা যাবে। একই সঙ্গে চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত আরোপিত সুদ নিয়মিতভাবে পরিশোধ করলে ওইসব ঋণকে খেলাপি করা যাবে না। অর্থাৎ চলমান ঋণের সুদ নিয়মিতভাবে পরিশোধ করলে তা খেলাপি হবে না। এ সুবিধা আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত অর্থাৎ দেড় বছর বাড়ানো হয়েছে। এবার শুধু সুদ পরিশোধ করতে হবে।

গত বছরের সুবিধায় ২০২০ সালে সুদ ও ঋণ কোনোটিই পরিশোধ করতে হয়নি। যা এ বছর থেকে পরিশোধ করতে হবে।

তলবি ঋণের ক্ষেত্রে চলতি মার্চ থেকে আগামী বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে আটটি সমান ত্রৈমাসিক কিস্তিতে পরিশোধ করা যাবে। নিয়মিতভাবে কিস্তি পরিশোধিত হলে এগুলোকে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত খেলাপি করা যাবে না। এ ক্ষেত্রে মেয়াদ বেড়েছে ২১ মাস।

সার্কুলারে আরও বলা হয়, নিয়মিতভাবে কিস্তি পরিশোধিত না হলে যে ত্রৈমাসিকে কিস্তি পরিশোধিত হবে না, ওই সময় থেকেই আলোচ্য সুবিধা বাতিল বলে গণ্য হবে। একই সঙ্গে ওই ঋণকে খেলাপি হিসাবে চিহ্নিত করা যাবে।

চলমান, তলবি ও মেয়াদি ঋণের বিপরীতে চলতি মার্চ পর্যন্ত প্রদেয় কিস্তি ব্যাংক গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে আগামী ৩০ জুনের মধ্যে পরিশোধ করা হলে সেগুলোকে খেলাপি করা যাবে না। এ ক্ষেত্রে মেয়াদ বেড়েছে তিন মাস।

করোনার প্রভাব মোকাবেলায় বিভিন্ন প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় বিতরণ করা ঋণ এ নীতিমালার আওতায় পড়বে না। সেগুলো নিজ নিজ প্রণোদনা প্যাকেজের শর্ত অনুযায়ী পরিচালিত হবে।

শেয়ার করতে চাইলে...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ...
© বাংলা বাহন সকল অধিকার সংরক্ষিত ২০১৯-২০২৪।
ডিজাইন ও আইটি সাপোর্ট: বাংলা বাহন
error: Content is protected !!