নভেল করোনাভাইরাসের প্রভাবে কোটি কোটি মানুষ নতুন করে খাদ্য সংকটে পড়তে যাচ্ছে। এতে বিশ্বজুড়ে ‘তীব্র’ দুর্ভিক্ষ ছড়িয়ে যেতে পারে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘ। খবর বিবিসির।
জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) প্রধান ডেভিড বিসলি জানান, বিপর্যয় ঠেকাতে জরুরি ভিত্তিতে কর্মসূচি হাতে নেয়া প্রয়োজন।
সংস্থাটির এক রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে, খাদ্য সংকটে ভুগতে থাকা মানুষের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াতে পারে ১৩৫ মিলিয়ন থেকে ২৫০ মিলিয়নেরও বেশি।
দুর্ভিক্ষের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকির মুখে আছে ১০টি দেশ। সংঘাত, অর্থনৈতিক সংকট ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ইতিমধ্যেই দেশগুলোতে খাদ্য সংকটে আছে।
দেশগুলো হচ্ছে-ইয়েমেন, ডিআর কঙ্গো, আফগানিস্তান, ভেনেজুয়েলা, ইথিওপিয়া, সুদান, দক্ষিণ সুদান, সিরিয়া, নাইজেরিয়া এবং হাইতি।
রিপোর্টটি জানাচ্ছে, গত বছর দক্ষিণ সুদানের ৬১ শতাংশ জনসংখ্যা খাদ্য সংকটে ভুগেছিল। মহামারির আগেও কয়েক দশক ধরে পূর্ব আফ্রিকা এবং দক্ষিণ এশিয়ার কিছু অংশ খরা ও পঙ্গপালের আক্রমণের কারণে মারাত্মক খাদ্য স্বল্পতায় আছে। এখন করোনা পরিস্থিতিতে পড়ে দুর্ভিক্ষের দিকে চলে যাচ্ছে দেশগুলো।
ইয়েমেনে ডব্লিউএফপির খাদ্য সহায়তা পাওয়া ৮০ শতাংশ মানুষই হুতি বাহিনী নিয়ন্ত্রিত এলাকার। প্রতি মাসে দেশটিতে ১২ মিলিয়নের বেশি মানুষকে খাওয়ায় জাতিসংঘের অধীন সংস্থাটি। তবে হুতি বাহিনীর বাধার কারণে সেখানে তাদের কর্মসূচি ব্যাহত হচ্ছে, এতে অনেক দাতা মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।
এক ভিডিও কনফারেন্সে জাতিসংঘের নিরাপত্তা কাউন্সিলকে উদ্দেশ করে বিসলি বলেন, ‘বিশ্বকে এখন খুব দ্রুত ও কৌশলী পদক্ষেপ নিতে হবে। অল্প কয়েক মাসের মধ্যে কয়েক ধাপে বড় আকারের দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন হতে যাচ্ছি। সত্য কথা হচ্ছে, আমাদের হাতে কোনো সময় নেই।’
এমন মানব বিপর্যয় সৃষ্টি হওয়ার আগেই জাতিসংঘের সবগুলো কর্মসূচি ও টিমকে একত্রে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি।