আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, অর্থনীতিবিদ ছাড়াও বিজ্ঞদের পরামর্শ, গবেষণা ও পার্টির ইশতেহারের সঙ্গে সমন্বয় করেই ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট প্রণয়ন করা হয়েছে। গতকাল বুধবার সংসদ ভবন এলাকার সরকারি বাসভবন থেকে মেট্রোরেল কার্যালয়ে যুক্ত হয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলার সময় এ কথা বলেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘করোনাভাইরাসের সংকটে প্রধানমন্ত্রী বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। ঠিক তেমনি বাজেট প্রণয়নের আগে দীর্ঘ সময় নিয়ে অংশীজনদের মতামত ও পরামর্শ নিয়েছেন।’
মানুষের জীবন-জীবিকায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে গণমুখী বাজেট উত্থাপিত হতে যাচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বাজেট প্রণয়নে পরামর্শ নেওয়া হয় না বলে বিএনপি মহাসচিবের মন্তব্য সত্যের অপলাপ মাত্র। জীবন ও জীবিকায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে গণমুখী ও কল্যাণমুখী বাজেট জাতীয় সংসদে আগামীকাল (আজ) উত্থাপিত হবে।’
অসচেতনতার কারণে দ্বিতীয় পর্যায়ে করোনা সংক্রমণ বেশি শুরু হলে সরকার কঠিন সিদ্ধান্ত নেবে বলে সবাইকে সতর্ক করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘করোনা সংক্রমণের ক্রম-অবনতিশীল এই পরিস্থিতিতে নতুন করে যেসব স্থানে লকডাউন করা হয়েছে, সেইসব এলাকার মানুষদের ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলার আহ্বান জানাচ্ছি। এই সিদ্ধান্ত আপনার, আমার, আমাদের সবার কল্যাণেই নেওয়া হয়েছে।’
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘আর যেসব এলাকা লকডাউনের আওতামুক্ত, আপনারা স্বাস্থ্যবিধি না মানলে পরিস্থিতি যদি আরও অবনতি হয়, যদি আবার সেকেন্ড ওয়েব শুরু হয় তাহলে দেশের সব এলাকায় সরকারকে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করবে। তাই নিজ নিজ অবস্থান থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। পরিস্থিতির আর অবনতি না ঘটিয়ে আসুন আমরা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনা অক্ষরে অক্ষরে পালন করি। সবার সমন্বিত প্রয়াসে এই দুঃসময় কেটে যাবে। করোনা সংকট থেকে আমরা মুক্তি পাব, এটাই প্রত্যাশা।’
সড়ক পরিবহনমন্ত্রী বলেন, ‘২০৩০ সালের মধ্যে ঢাকা মহানগরী ও পার্শ্ববর্তী এলাকার যানজট নিরসনে উড়াল ও পাতালসহ ছয়টি মেট্রোরেল রুট নির্মাণ করতে যাচ্ছে সরকার। হেমায়েতপুর থেকে ভাটারা পর্যন্ত রুট-৫-এর নর্দার্ন অংশের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘২০ কিলোমিটার দীর্ঘ এ রুটে সাড়ে ১৩ কিলোমিটার পাতাল এবং সাড়ে ৬ কিলোমিটার হবে উড়াল। এ রুটটি নির্মাণে প্রায় ৪১ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হবে।’ এর মধ্যে জাপান সরকারের অর্থায়ন প্রায় ২৯ হাজার কোটি টাকা বলে মন্ত্রী জানান।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, ‘উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত নির্মাণাধীন মেট্রো রুট-৬-এর চলমান কাজের শতকরা ৪৫ ভাগ শেষ হয়েছে। সম্প্রতি কাজের গতি আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতিমধ্যে এ রুটে ১০ কিলোমিটার ভায়াডাক্ট এবং ১ কিলোমিটার রেললাইন স্থাপন করা হয়েছে।’