আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘বিএনপি একটি সন্ত্রাসী দল। তারা দেশের মানুষের কল্যাণ চায় না, গণতান্ত্রিক ধারা চায় না বলেই তারা সন্ত্রাস-নৈরাজ্য করছে।’
আজ রবিবার সকাল ৮টায় ঢাকা সিটি কলেজ কেন্দ্রে ভোট প্রদান শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘অনেক সংগ্রাম করে মানুষের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। জনগণ যাকে খুশি তাকে ভোট দেবে, ভোট দেবে এটাই বড়। নৌকার প্রতি জনগণের আস্থা আছে বলেই দেশের মানুষ তার ভোটের অধিকার ফিরে পেয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘অনেক বাধা বিপত্তির মধ্যেও ভোট দেওয়ার পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আজ যে নির্বাচনটা আমরা সুষ্ঠুভাবে করতে পারছি সেজন্য আমি দেশের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। পাঁচ বছর পর একটি নতুন সরকার আসবে। জনগণ তার ইচ্ছামত ভোট দেবে। আর সেই ভোট দেবার পরিবেশটা আমরা তৈরি করতে পেরেছি। যদিও বিএনপি-জামায়াত জোটরা জ্বালাও পোড়াও অনেক ঘটনা ঘটিয়েছে। ট্রেনে আগুন দেওয়া থেকে শুরু করে গাড়িতে আগুন দেওয়া, মানুষকে বাঁধা দেওয়া, বোমা হামলা, ককটেল মারা এসব জঘন্য কাজ যারা করেছে আমি এটুকুই বলব তারা গণতন্ত্র বিশ্বাস করে না।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি ভোটের পক্ষে থাকার কথা নয়, তাদের উত্থান সন্ত্রাসের মাধ্যমে। জনগণের কাছে তাদের গ্রহণযোগ্যতা নেই। নৌকার জয় হবে। জনগণের আস্থা অর্জনে সক্ষম আওয়ামী লীগ।’
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নিজ ঘরে ক্ষমতার জন্য যারা সন্ত্রাস করে তারা জনগণের রাজনীতি করে না। গণতান্ত্রিক দেশে গণতন্ত্র ও স্থিতিশীলতা ধরে রাখতে যা যা করণীয় তা করেছে আওয়ামী লীগ সরকার।’
এ সময় শেখ হাসিনা একটি সুষ্ঠু ভোটের প্রত্যাশা করেন। তিনি সবাইকে কেন্দ্রে এসে ভোট দেওয়ার আহবান জানান।