1. admin@banglabahon.com : Md Sohel Reza :
সিঙ্গাপুরের সহায়তা চান প্রধান উপদেষ্টা
রবিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৭:০১ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম:
মানিকগঞ্জে অবশেষে কোমলমতি শিশুকে যৌন নির্যাতনে মামলা মানিকগঞ্জ রিপোর্টার্স ক্লাবের সভাপতি মামুন ও সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার শিবালয়ে আ’লীগের দোসর ‘দুর্নীতিবাজ’ প্রধান শিক্ষককে বহালের অপচেষ্টার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মানিকগঞ্জে বিএনপি’র নামে ভুয়া বিজিবি কার্ড বিক্রিকালে আটক ১, সাংবাদিককে হত্যার হুমকি মানিকগঞ্জে কলেজ অধ্যক্ষকে পদত্যাগে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম শিক্ষকদের মানিকগঞ্জে প্রধান শিক্ষকের অসদাচরণে নিরাপত্তাহীনতায় কোমলমতি শিক্ষার্থী পাটুরিয়ায় ফেরিতে জুয়া খেলার সময় আটক ২ গোয়ালন্দ-পাকশি নৌ-চ্যানেলের বাইরে অবৈধভাবে লাখ লাখ টাকা চার্জ আদায় করছে ইজারাদার পাটুরিয়া ফেরিঘাটে অবৈধ বালু ব্যবসা: মোবাইল কোর্ট পরিচালনার দাবি জোরালো মানিকগঞ্জে টিসিবি’র পণ্য কালোবাজারে বিক্রি, ধরা পড়ে ধামাচাপার চেষ্টা

সিঙ্গাপুরের সহায়তা চান প্রধান উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশিত : রবিবার, ১০ নভেম্বর, ২০২৪
পাচার অর্থ ফেরত আনতে সিঙ্গাপুরের সহায়তা চান প্রধান উপদেষ্টা

বাংলাদেশ থেকে পাচারের অর্থ পুনরুদ্ধার ও বাংলাদেশী অভিবাসনের ব্যয় কমাতে সহায়তার জন্য সিঙ্গাপুরের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বাংলাদেশে নিযুক্ত সিঙ্গাপুরের রাষ্ট্রদূত ডেরেক লো ঢাকায় তেজগাঁও কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতে এই আহ্বান জানানো হয় ।

অধ্যাপক ইউনূস রাষ্ট্রদূতকে বলেন, ‘বাংলাদেশ থেকে সিঙ্গাপুরসহ অনেক দেশে প্রচুর অর্থ পাচার করা হয়েছে। সিঙ্গাপুরের কাছ থেকে পূর্ণ সহযোগিতা প্রয়োজন আমাদের।’ এ সময় রাষ্ট্রদূত লো সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দেন।

অধ্যাপক ড. ইউনূস বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগের খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে কমানোর লক্ষ্যে ঢাকার সঙ্গে কাজ করার জন্য সিঙ্গাপুরের প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি বলেন,‘প্রবাসীরা যেন তাদের পরিবারের কাছে আরও বেশি অর্থ পাঠাতে পারে সে লক্ষ্যে অন্তর্বর্তী সরকার অভিবাসনের ব্যয় কমিয়ে আনতে চায়। আমরা সিঙ্গাপুরের সঙ্গে নিয়োগের খরচ কমানোর জন্য একটি মডেল কাঠামো তৈরি করতে পারি।’

রাষ্ট্রদূত সহায়তার আশ্বাস দিয়ে বাংলাদেশকে বৈদেশিক নিয়োগ ব্যবস্থাকে ডিজিটালাইজ করার পরামর্শ দেন যাতে করে মানবপাচার ও শ্রমিক শোষণের আশঙ্কা কমে যায়। দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা, অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্রনীতি, শিপিং, শিক্ষা এবং নিজ নিজ জনগণের স্বাস্থ্যসেবা নিয়েও আলোচনা হয়েছে।

অধ্যাপক ড. ইউনূস বলেন, ‘স্বৈরাচারী সরকার পতনের মাত্র তিন মাসের মাথায় অর্থনীতি ভালোভাবে পুনরুদ্ধার করে বাংলাদেশ এখন ব্যবসার জন্য প্রস্তুত। এখন এদেশে ব্যবসা করার উপযুক্ত সময়।’

সিঙ্গাপুরের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র ডিরেক্টর ফ্রান্সিস চং বলেন, ‘বাংলাদেশ ২০২১ সালে সিঙ্গাপুরের সঙ্গে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির প্রস্তাব করেছিল। প্রস্তাবিত এফটিএ-র ওপর একটি সম্ভাব্যতা সমীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে এবং উভয় দেশই এখন কীভাবে একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা শুরু করা যায় তার সুযোগ নির্ধারণ করবে।’

লো বলেন, ‘সিঙ্গাপুর পানি শোধন এবং বর্জ্য শক্তি ব্যবস্থাপনা বিষয়ে তাদের দক্ষতা ভাগাভাগি করতে পারলে খুশি হবে। তিনি উভয় দেশের খাদ্য সংস্থার মধ্যে সহযোগিতার প্রস্তাব করেন।’

অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্রনীতি প্রসঙ্গে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, ‘তার সরকার প্রতিবেশীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখছে এবং সার্ককে দক্ষিণ এশীয় প্রতিবেশীদের সঙ্গে আরও ব্যাপকভাবে সম্পৃক্ত হওয়ার প্ল্যাটফর্ম হিসেবে পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করছে।’

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সচিব ও মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং ঢাকায় সিঙ্গাপুরের চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্স মাইকেল লি।

শেয়ার করতে চাইলে...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ...
© বাংলা বাহন সকল অধিকার সংরক্ষিত ২০১৯-২০২৫।
ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট ও কাস্টমাইজেশন: বাংলা বাহন আইটি টিম
error: Content is protected !!