1. admin@banglabahon.com : Md Sohel Reza :
যে ১০ ভুলের কারণে অন্ধকার হতে পারে শিশুর ভবিষ্যৎ
মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০১:০১ পূর্বাহ্ন
দৃষ্টি আকর্ষণ:
‘বাংলা বাহন’ নিউজপোর্টাল সার্ভার মেইনটেনেন্সের কাজ চলছে। শীঘ্রই দেশ-বিদেশের সংবাদ নিয়ে আমরা ফিরে আসছি। এই সাময়িক অসুবিধার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত।

যে ১০ ভুলের কারণে অন্ধকার হতে পারে শিশুর ভবিষ্যৎ

লাইফস্টাইল ডেস্ক
  • প্রকাশিত : মঙ্গলবার, ২৭ আগস্ট, ২০২৪
  • ৩১ বার পঠিত

বর্তমান যুগে সন্তানকে মানুষ করা বাবা-মায়ের সবচেয়ে বড় চিন্তার কারণ। এ কাজটি মোটেও সহজ নয়। তবে ছোট থেকে সঠিকভাবে পরিচর্যা করতে পারলে সন্তানদের মানুষ করার বিষয়টি অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। কেননা, শিশু বয়সে যা শেখাবে সেটাই সে শিখবে, সেভাবেই সে বড় হবে। ছোটবেলার শিক্ষাই তার আগামীর সোপান। ফলে সন্তানকে মানুষ করার পদ্ধতি জানা দরকার। অনেক সময় বাবা-মায়ের ভুলে কারণেই সন্তানদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে যায়। এমন কিছু আচরণও তারা করে ফেলেন, যেটা তাদের মানুষ করে তোলার পথে অন্তরায় হয়ে ওঠে। চলুন জেনেই নেই, সন্তানের সঙ্গে কী কী করা যাবে না-

১. ফোন ব্যবহারে ছাড়
আজকাল বিশেষ করে করোনা অতিমারীর পর শিশুরা আর খেলার মাঠে যায় না। তার পরিবর্তে স্মার্টফোন, ল্যাপটপ বা কম্পিউটার গেম খেলতে পছন্দ করে। যা তাদের মানসিক এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের উন্নতিতে বাধা হয়ে উঠেছে। যেসব শিশু গেম খেলতে পছন্দ করে না, তারা ইউটিউবে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ভিডিও দেখে। তা শিশুর চোখ ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর শুধু খারাপ প্রভাব ফেলছে না, তার সার্বিক বিকাশও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এজন্য শিশুদের মোবাইল ব্যবহারে আরও বেশি সতর্ক হতে হবে।

২. শেখানোর বদলে বকাঝকা
অনেক অভিভাবক তাদের বাচ্চাদের সামান্য কিছুতেই বকাঝকা করা শুরু করেন। শিশু কিছু বুঝতে না পারলেই বকা দেন মা-বাবারা। এতে শিশুটির কৌতূহল হারিয়ে ফেলে। সে জিজ্ঞাসা করতে ভয় পায়। সন্তানও ছোট বয়স থেকে কারণে-অকারণে রেগে যেতে পারে।

৩. অধৈর্য হতে শেখাবেন না
আজকের প্রজন্মের ধৈর্যের বড় অভাব। তাই সন্তানের মধ্যে ধৈর্য আনার চেষ্টা করুণ। প্রথমে নিজের মধ্যে ধৈর্য আনুন, বিশেষ করে প্রতিকূল পরিস্থিতিতে। তারপর সন্তানকে ধীরস্থির করুন।

৪. হারের শিক্ষা
প্রতিযোগিতার যুগে ছোট বয়স থেকে জয়ের প্রবণতা বেড়ে চলেছে। অধিকাংশ অভিভাবককেই মাথায় রাখা উচিত, সন্তানকেও বাঁচার পরিসর দেওয়া দরকার। তারও ইচ্ছা-অনিচ্ছা রয়েছে। সে আপনার ইচ্ছা পূরণের মেশিন নয়। তাকেও ব্যর্থতা শিখতে হবে। কারণ কিছু কিছু ক্ষেত্রে ব্যর্থতা থেকে শিক্ষা শিশুর বৃদ্ধি ও বিকাশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

৫. সঙ্গে সঙ্গে কিছু দেবেন না
অনেক বাবা-মা সন্তানদের সময় দিতে পারেন না। তার পরিবর্তে সন্তানদের প্রতিটি জেদকে ভালোবাসা হিসেবে পূরণ করে দেন। তখন তারা আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে শেখে না। শিশুদের প্রতিটি জেদ অবিলম্বে পূরণ হলে সে জীবনে ঠিক-ভুলের কারণ করতে শেখে না।

৬. তুলনা করা
সব শিশু এক নয়। সবার মধ্যেই কিছু ভালো বা মন্দ থাকতে পারে। আপনার শিশু কোনো একটি বিষয়ে অন্যদের চেয়ে ভালো নাও হতে পারে। আবার অনেক ক্ষেত্রে সে এগিয়ে থাকে। তাই নিজের সন্তানকে অন্য কারও সঙ্গে তুলনা করবেন না। এতে তার মধ্যে প্রতিশোধস্পৃহা তৈরি হতে পারে। সেই সঙ্গে মা-বাবার থেকে দূরত্বও।

৭. নিজেকে শোধরানো
শিশুদের সুস্বাস্থ্য এবং ভবিষ্যতের জন্য মা-বাবার নিজেদের মধ্যেও পরিবর্তন আনতে হবে। শিশুদের ওপর কোনো কিছু চাপানোর আগে সন্তানের সামনে নিজের অভ্যাস পরিবর্তন করা প্রয়োজন।

৮. চাহিদার আগে ইচ্ছা পূরণ করা
অনেক সময় বাবা-মায়েরা বাচ্চাদের জিজ্ঞাসা করার আগে তাদের কোনো জিনিস দিয়ে দেন। মনে রাখবেন সন্তানের যেটা প্রয়োজন সেটাই দেবেন। তার বেশি হলে সে আর কোনো জিনিসের গুরুত্ব বুঝতে পারবে না।

৯. সন্তানকে দোষারোপ করা
সন্তানের আচরণ খারাপ মনে করলে কটু কথা বলবেন না। তাকে বোঝান। এমনও হতে পারে অন্য কোনো বিষয়ে আপনার মাথা গরম, সেই রাগ দেখালেন সন্তানের ওপর। এটা করবেন না।

১০. সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা
অনেক সময় বাবা-মায়েরা যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় সন্তানকে সিদ্ধান্ত নিতে দেন না। সন্তানকে সিদ্ধান্ত নিতে দিন। ঠকলে সে শিখবে। আপনার নজর রাখুন তার ওপর।

শেয়ার করতে চাইলে...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ...
© বাংলা বাহন সকল অধিকার সংরক্ষিত ২০১৯-২০২৪।
ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট ও কাস্টমাইজেশন: বাংলা বাহন আইটি টিম
error: Content is protected !!