বাসের সিট নিয়ে বাকবিতণ্ডা কেন্দ্র করে বিনোদপুর বাজার ব্যবসায়ী ও স্থানীয়দের হামলায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন। আজ সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিনোদপুর গেটে শিক্ষার্থীদের ওপর এই হামলায় চালায় তারা।
আহতদের বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টার ও রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় ক্যাম্পাসের অন্তত ১০ সাংবাদিক আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে বিনোদপুর এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সাত প্লাটুন সদস্য।
প্রত্যক্ষদর্শী ও শিক্ষার্থীরা জানান, বগুড়া থেকে বাসে রাজশাহী আসতে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আকাশ। বাসের সিট নিয়ে চালক শরিফুল ও তার সহকারী রিপনের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয় তার।
বাসটি বিনোদপুর এলাকায় পৌঁছালে তাদের মধ্যে আবারও বাকবিতণ্ডা হয়। পরে স্থানীয় এক দোকানদার এসে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের ওপর ব্যবসায়ীও স্থানীয়রা সংঘবদ্ধ হয়ে হামলা চালায়। খবর পেয়ে ক্যাম্পাসের শিক্ষার্থীরা সেখানে এলে দু’পক্ষের সংঘর্ষ হয়।
বিনোদপুর গেটে বেশ কয়েকটি দোকান ভাংচুর ও পুলিশ বক্সে আগুন দেয়ার ঘটনা ঘটে। অতিরিক্ত পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রাবার বুলেট ও টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে।
আহত শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে রাবি প্রক্টর অধ্যাপক আসাবুল হক বলেন, ‘আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও এখন কাজ করছে। এ ঘটনায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।’
এদিকে, রাজশাহী-ঢাকা রেললাইন অবরোধ করতে চারুকলা অনুষদ এলাকায় যান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। রাত ১১টা ২০ মিনিটে নির্ধারিত ঢাকাগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস রাজশাহী স্টেশন ছেড়ে যায়নি।
সংঘর্ষের ঘটনায় আগামী দুই দিনের জন্য সব ধরনের ক্লাস-পরীক্ষা স্থগিত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।