নিখোঁজের একদিন পর যমুনা নদীতে ভেসে উঠেছে নিখোঁজ পর্যটক নাসা গ্রুপের জেনারেল ম্যানেজার আশ হাবিবের (৪৩) লাশ । আজ বেলা ১১টার দিকে ঘটনাস্থলের পাশে লাশ ভেসে উঠলে স্থানীয়রা টেনে তীরে নিয়ে আসেন।
শুক্রবার দুপুরে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার জাফরগঞ্জ নদী রক্ষা বাধে স্ত্রী ও পুত্র সঙ্গে নিয়ে বেড়াতে এসে সাঁতারে নেমে নিখোঁজ হয়েছিলেন তিনি। গতকাল সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল ও নৌ-পুলিশ তাঁর সন্ধান করেও পায়নি।
স্থানীয় জুলহাস উদ্দিন ও ঠান্ডু শেখ জানান, ঘটনাস্থলের পাশে লাশ ভাসতে দেখে নৌকায় টেনে তীরে নিয়ে আসেন তারা। এরপর স্থানীয়রা লাশের সঙ্গে স্বজনদের দেওয়া ছবি ও বর্ণনায় আশ হাবিবের লাশ সনাক্ত করেছেন।
শিবালয় থানার ওসি শাহীন আলম সাংবাদিকদের জানান, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। খবর দেওয়া হয়েছে স্বজনদের। তারা এসে লাশ সনাক্ত করার পর আইনি প্রক্রিয়ায় হস্তান্তর করা হবে।
এর আগে হাবিবের স্ত্রী শামীমা নাসরিন জানিয়েছেন, ঘটনার দিন পুত্র অহন (১০) কে সঙ্গে নিয়ে তারা প্রাইভেটকারে আড়াইটার দিকে এখানে বেড়াইতে আসেন। ড্রাইভার আলামিনকে খাদ্য দ্রব্য কেনার জন্য জাফরগঞ্জ বাজারে পাঠান।
এরপর স্ত্রী ও ছেলেকে নদীর পাড়ে বসিয়ে নদীতে সাঁতার কাটতে নেমে ডুবে যান। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসে খরবর দেওয়া হয়।
গতকাল আরিচা কাম পাটুরিয়া ঘাট ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের অপারেশন অফিসার মজিবুর রহমান জানিয়েছেন, সকাল থেকে একটানা বিকাল চারটা পর্যন্ত ডুবুরি দল অভিযানে কোন সন্ধান মিলেনি। এ ব্যাপারে নদী তীরবর্তী এলাকায় জনসাধারণকে মাইকিং করে জানানো হয়। ফায়ার সার্ভিস ও নৌ-পুলিশ নদীতে টহল অব্যাহত রাখে।
আশ -হাবিবের নিখোঁজের খবর পেয়ে সহকর্মী ও আত্নীয়-স্বজনরাও ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। তারাও উদ্ধার তৎপরতায় সম্পৃক্ত থেকে খোঁজ-খবর নিয়েছেন।
ঢাকার আশুলিয়া ঘোষবাগস্থ পোষাক তৈরি কারখানায় কর্মরত ছিলেন হাবিব। থাকতেন সাভারের রেডিও কলোনি এলাকায়। বগুড়া সদর উপজেলার ফুলবাড়ি গ্রামে প্রয়াত আজিজুর রহমানের পুত্র তিনি।