মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার জাফরগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন এএইচএম ফজলুল হক হাসান। আজ দুপুরে বিদ্যালয়ের দাপ্তরিক কক্ষে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
সভাপতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ধানমন্ডির সানিডেল স্কুলের ভাইস-প্রিন্সিপাল এএইচএম ফজলুল হক হাসান ও তেওতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি থেকে সদ্য বহিস্কৃত আব্দুল করিম শেখ।
চার অভিভাবক সদস্যসহ নয়জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। এতে এএইচএম ফজলুল হক হাসান পেয়েছেন ছয় ভোট ও আবদুল করিম শেখ তিন ভোট পেয়েছেন। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা নির্বাচন কমিশনের দায়িত্বপালন করেন।
স্থানীয়রা জানায়, এ বিদ্যালয়ে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নির্বাচন নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরে এলাকায় নানা জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়। সভাপতি পদে কয়েকজন প্রার্থীর নাম শুনা যায়। শেষ পর্যন্ত দু’জন প্রার্থি হন। কিন্তু এ পদে এএইচএম ফজলুল হক হাসানের সমর্থনে প্রচার-প্রচারণা শুরু করেন শিক্ষার্থী অভিভাবক ও এলাকাবাসী।
হাসানের পিতা প্রবীণ শিক্ষক প্রয়াত আলহাজ্ব আব্দুল কাদের ফেরদৌসী এ বিদ্যালয়ের সভাপতি ও দাতা সদস্য ছিলেন। যমুনা নদীতে তিনবার ভাঙনের কবলে পড়ে এ বিদ্যালয়। বর্তমানে যে জমিতে বিদ্যালয় অবস্থিত। এ জমিও প্রয়াত আলহাজ্ব আব্দুল কাদের ফেরদৌসী ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের দান করা। হাসানের বড় ভাই মঞ্জরুল আলম বাশারও বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য। হাসানও এ বিদ্যালয়ের দাতা সদস্য ও সুশিক্ষিত, নম্র-ভদ্র হিসেবে এলাকায় পরিচিত। এ কারণে তাঁর গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তাও অনেক।
শিক্ষার্থী অভিভাবকেরা জানান, গত ৯ এপ্রিল অভিভাবক সদস্য নির্বাচনে অনেক প্রার্থীই এএইচএম ফজলুল হক হাসানের পক্ষের প্রার্থী পরিচয় দিয়ে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা করেছেন। অবশেষে নির্বাচিত হয়েছেন শহিদুল ইসলাম মাহমুদ, মো. নুরুজ্জামান মন্ডল, মকিবুল হোসেন তারা ও আবদুস সাত্তার।
সভাপতি নির্বাচিত হয়ে এএইচএম ফজলুল হক হাসান বলেন,‘আমার বাবা এ বিদ্যালয়ের জন্য অনেক ত্যাগ করেছেন। আমিও বিদ্যালয়ের উন্নয়নে সকলের সহযোগিতা নিয়ে কাজ করবো। বিদ্যালয়ের সকল অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। শিক্ষার মান উন্নয়ন ও শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া উন্নত পরিবেশ সৃষ্টি ও খেলাধূলার জন্য মাঠের ব্যবস্থা করা হবে।”
উল্লেখ্য, জাফরগঞ্জ উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচন না হওয়ায় আব্দুল করিম শেখ পরপর দুই বার আহ্বায়ক ছিলেন। সম্প্রতি তিনি তেওতা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এ কারণে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের পদ থেকে বহিস্কার করা হয়।