মিয়ানমারের সেনা শাসকদের সমালোচনা করে এবারও বিবৃতি দিতে পারল না জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। কূটনীতিকরা অবশ্য বলছেন, তারা আলোচনা চালিয়ে যাবেন।
রয়টার্স জানিয়েছে, ব্রিটেন থেকে বিবৃতির একটি খসড়া করা হলে তার ভাষা সংশোধনের পরামর্শ দেয়া হয় চীন, রাশিয়া, ভারত এবং ভিয়েতনাম থেকে।
তারা বিবৃতি থেকে সেনা অভ্যুত্থান সম্পর্কিত আলোচনা ও ‘সেনাবাহিনী সংযত না হলে আরও ব্যবস্থা গ্রহণের’ মতো কথাগুলো সরিয়ে ফেলার অনুরোধ জানায়।
নিরাপত্তা পরিষদ গত মাসে এক বিবৃতিতে মিয়ানমারে সেনাবাহিনী ঘোষিত জরুরি অবস্থা নিয়ে উদ্বেগ ও আটককৃতদের মুক্তি দিলেও কঠোর কোনো হুঁশিয়ারি দিতে পারেনি।
তখনো চীন-রাশিয়ার বিরোধিতায় বিবৃতিটিতে সেনা অভ্যুত্থানের নিন্দা জানানো হয়নি।
১ ফেব্রুয়ারি দেশটির সেনাবাহিনী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করে। এরপর শুরু হয় দমন-নিপীড়ন। এখন পর্যন্ত সেখানে ৬০ জনের বেশি বিক্ষোভকারী পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন।
অভ্যুত্থানের পর ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। রাজধানী নেপিডোতে সেনাশাসন বিরোধী বিক্ষোভকালে গুলিতে আহত হন ২০ বছরের এক তরুণী। তিনি নেপিডোর একটি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
২০ ফেব্রুয়ারি একদিনে মারা যান দুজন। একটি শিপইয়ার্ডের কর্মীদের সেনাবিরোধী আন্দোলন নিয়ন্ত্রণ করতে পুলিশ গুলি চালালে ওই দুজন প্রাণ হারান।
জাতিসংঘ জানিয়েছে, ১ মার্চ একদিনে মারা যান ১৮ জন। ৩ মার্চ প্রাণ হারান আরও ৩৮ জন!
দেশটির বিষয়ে জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টেফান দুজারিচ গত মঙ্গলবার বৈঠকের আগে গণমাধ্যমকে বলেন, ‘প্রতিটি সদস্য রাষ্ট্র স্বতন্ত্র ও সম্মিলিতভাবে ভূমিকা রাখতে পারে। আমরা সব সময় সম্মিলিতভাবে নিরাপত্তা পরিষদ থেকে দৃঢ় ও কঠোর ব্যবস্থা আশা করছি।’