1. admin@banglabahon.com : Md Sohel Reza :
অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি ঘোষণা
শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:০৩ অপরাহ্ন

অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি ঘোষণা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • প্রকাশ: বৃহস্পতিবার, ২৫ মে, ২০২৩

বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ জাতীয় নির্বাচনের লক্ষ্যে নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় কারা পড়বেন এ বিষয়‌টি স্পষ্ট করেছে ঢাকার মার্কিন দূতাবাস।

বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন নতুন ভিসানী‌তি ঘোষণার পর কয়েকটি প্রশ্নের উত্তরের মাধ্যমে বিষয়‌টি স্পষ্ট করেছে ঢাকার যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস।

যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ওয়েবসাইটে প্রশ্নের উত্তর পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-

প্রশ্ন : এসব ভিসা বিধিনিষেধ কার/কাদের জন্য প্রযোজ্য হবে?

উত্তর : এই নীতি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত যেকোনো ব্যক্তির ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। অন্য অনেকের সাথে বাংলাদেশের বর্তমান বা সাবেক কর্মকর্তা/কর্মচারী, সরকারের সমর্থক ও বিরোধী দলীয় সদস্যরা এর অন্তর্ভুক্ত। এ ধরনের ব্যক্তিদের নিকটতম পরিবারের সদস্যরাও এর অন্তর্ভুক্ত থাকবেন।

প্রশ্ন : এখন কি এই নীতিমালার আওতায় কোনো ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে?

উত্তর : না। সেক্রেটারি অব স্টেট যেমনটা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের ভিত্তিতে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে একটি শক্তিশালী অংশীদারিত্ব গড়ে তুলতে অঙ্গীকারবদ্ধ। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর অঙ্গীকারকে আমরা স্বাগত জানাই।

প্রশ্ন : এই ভিসা বিধিনিষেধ কি সরকার বা আওয়ামী লীগের দিকে নির্দেশ করছে?

উত্তর : না, যুক্তরাষ্ট্র কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না। এই নতুন নীতির অধীনে বিধিনিষেধগুলো সংশ্লিষ্টতা নির্বিশেষে সেসব ব্যক্তিদের লক্ষ্য করে পরিচালিত যারা গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে এমন আচরণে/কর্মকাণ্ডে জড়িত।

প্রশ্ন : যাদের ভিসা প্রত্যাহার করা হয়েছে আপনারা কী তাদের অবহিত করবেন?

উত্তর : যাদের ভিসা প্রত্যাহার বা বাতিল করা হয়েছে তাদের অবহিত করা একটি সাধারণ রীতি।

প্রশ্ন : উচ্চ স্তরের আদেশ অনুসরণ করে যারা অপরাধ করে তাদের জন্য ভিসা বিধিনিষেধ কীভাবে প্রযোজ্য হবে? আদেশ পালনকারীদের সাথে উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত গ্রহণকারীদেরকে যুক্ততার বিষয়টি যদি কঠিন হয় তবে কী হবে?

উত্তর : বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত যেকোনো ব্যক্তির ক্ষেত্রে এই নীতি প্রযোজ্য।

প্রশ্ন : রাষ্ট্রদূত হাসের নিরাপত্তা হ্রাস করার বাংলাদেশ সরকারের ১৪ মের সিদ্ধান্তের প্রতিশোধ হিসেবে কী এই ঘোষণা?

উত্তর : বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে আমাদের নিবিড় সহযোগিতার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা গত ৩ মে এই নীতিগত সিদ্ধান্ত সম্পর্কে তাদেরকে অবহিত করেছি।

প্রশ্ন : বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র কেন এত চিন্তিত?

উত্তর : যুক্তরাষ্ট্র সর্বত্র অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার সরকার বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে সমর্থন করার অঙ্গীকার করেছে। এই নীতিটি সেই প্রচেষ্টা ও বাংলাদেশের জনগণকে সাহায্য করার জন্য প্রণীত হয়েছে। যাতে তারা তাদের নেতা বেছে নেওয়ার জন্য নির্বাচন করতে পারে।

শেয়ার করতে চাইলে...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরও সংবাদ...
© বাংলা বাহন সকল অধিকার সংরক্ষিত ২০১৯-২০২৪।
ডিজাইন ও আইটি সাপোর্ট: বাংলা বাহন
error: Content is protected !!