দেশে চার বছরের মধ্যে এবারে নিপাহ ভাইরাসে মৃত্যু বেশি হয়েছে। এ পর্যন্ত নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত ১০ জনের মধ্যে সাতজনই মারা গেছেন। আট বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ রোগী শনাক্তও হয়েছে এ বছর।
রবিবার রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর) থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানে হয়।
আইইডিসিআর পরিচালক অধ্যাপক ডা. তাহমিনা শিরিন বলেন, সারাদেশে নিপাহ ভাইরাসের সার্ভিলেন্সের কাজে জোর দেয়া হচ্ছে। যেখানেই নতুন কেস পাওয়া যাচ্ছে, আমরা সেটা আপডেট করে নিচ্ছি। একইসঙ্গে স্থানীয় কর্তৃপক্ষকেও অবহিত করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, নিপাহ ভাইরাসে সংক্রমিতদের জন্য এখনও কোনো সুনির্দিষ্ট ভ্যাকসিন বা ওষুধ নেই। আক্রান্ত হওয়ার পর যদি কেউ বেঁচেও যান, তবুও তার শরীরে নানান ধরনের জটিলতা দেখা দেয়। এ থেকে পরিত্রাণ পাওয়ার শুধু একটাই উপায়, তা হলো খেজুরের কাঁচা রস খাওয়া বন্ধ করতে হবে। এটা করতে পারলেই কেবল আমরা ঝুঁকিমুক্ত থাকতে পারবো।
ডা. তাহমিনা শিরিন আরও বলেন, অনেকেই বলে থাকেন- সতর্কতা অবলম্বন করে খেঁজুরের রস সংগ্রহ করছেন তারা। এটা কিন্তু ভুল কথা। কারণ বাদুড়ের মুখ দিয়েই শুধু নয়, এর ইউরিন থেকেও এটা (নিপাহ ভাইরাস) ছড়াতে থাকে। অনেকে জাল দিয়ে ঢেকে রাখেন, যাতে বাদুড় মুখ না দিতে পারে। কিন্তু ইউরিন তো আর তাতে আটকাচ্ছে না। তাই খেজুরের কাঁচা রস পানে আক্রান্তের আশঙ্কা সব সময়ই থেকে যাচ্ছে।