বায়ুদূষণে বিশ্বের ১০৮টি শহরের মধ্যে আজ সকাল ৯টায় ঢাকার অবস্থান ৪র্থ। বিশ্বজুড়ে বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী সংস্থা আইকিউ এয়ারের তথ্য অনুযায়ী ঢাকার বাতাসের মান অস্বাস্থ্যকর। এদিন সকাল ৯টার দিকে ১০৯ স্কোর নিয়ে বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ৪র্থ স্থানে রয়েছে ঢাকা।
একইসময়ে ১৬৯ স্কোর নিয়ে দূষিত বায়ুর শহরের তালিকার প্রথম স্থানে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই। ১৩৭ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তা। ১৩৩ স্কোর নিয়ে তৃতীয় স্থানে রয়েছে চীনের উহান। ১০৭ স্কোর নিয়ে পঞ্চম স্থানে রয়েছে কানাডার ভ্যাঙ্কুভার বিসি।
এ ছাড়া একইসময়ে একিউআই স্কোর ১০৬ স্কোর নিয়ে ৬ষ্ঠ স্থানে রয়েছে ভিয়েতনামের হ্যানয়। একই স্কোর নিয়ে সপ্তম স্থানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটেল। ৯৯ স্কোর নিয়ে অষ্টম স্থানে রয়েছে পাকিস্তারেন লাহর। ৯৭ স্কোর নিয়ে ভারতের দিল্লি রয়েছেন নবম স্থানে। ৯৫ স্কোর নিয়ে দশম স্থানে রয়েছে উগান্ডার কাম্পালা।
সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুর মান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার দূষিত বাতাসের শহরের এ তালিকা প্রকাশ করে। প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই স্কোর একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের কোনো ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে কি না, তা জানায়।
তথ্যমতে, একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়। আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। ১৫১ থেকে ২০০ পর্যন্ত অস্বাস্থ্যকর হিসেবে বিবেচিত হয়।
একইভাবে একিউআই স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ এর মধ্যে থাকলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং স্কোর ৩০১ থেকে ৪০০ এর মধ্যে থাকলে ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়। বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। এটা সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।
২০১৯ সালের মার্চে পরিবেশ অধিদপ্তর ও বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, ঢাকার বায়ুদূষণের তিনটি প্রধান উৎস—ইটভাটা, যানবাহনের ধোঁয়া ও নির্মাণকাজের ধুলা।
বায়ুদূষণের ফলে বাড়ছে শ্বাসকষ্ট, কাশি, নিম্ন শ্বাসনালীর সংক্রমণ এবং বিষণ্ণতার ঝুঁকি।
এই সাইটে প্রকাশিত তথ্য, সংবাদ, ছবি, অডিও-ভিডিও ও যেকোনো উপাদান গবেষণামূলক কাজে ব্যবহার ও প্রদর্শন করা যাবে। সেক্ষেত্রে ‘বাংলা বাহন’ রেফারেন্স উল্লেখ করতে হবে।