যমুনা নদীর মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার নিহালপুর ও তেওতা এলাকায় অবৈধ ড্রেজারের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত ও নৌ-পুলিশ। আজ বিকালে এই অভিযানে তিনটি ড্রেজার ও ১ হাজার মিটার পাইপ অকেজো করা হয়েছে। এছাড়া, জব্দ করা হয়েছে একটি বালুর ট্রলি ও সরঞ্জামাদি।
পাটুরিয়া নৌ-থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, বিকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আনিছুর রহমান খান ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালান। নিহালপুর এলাকায় অভিযান টের পেয়ে ড্রেজারের মালিক-শ্রমিকরা পালিয়ে যায়। পরে অকেজো করা হয় তিনটি ড্রেজার ও ১ হাজার মিটার পাইপ।
এছাড়া, দক্ষিণ তেওতা এলাকায় যমুনা নদীর চর থেকে বালু ট্রলিতে লুট করার সময় একজনকে আটক করা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে ট্রলিসহ সরঞ্জামাদি। এ ঘটনায় জড়িত মো. আসিফ মিয়া, লেবু মিয়া, মো. শামীম ও রাসেল শেখের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে।
নিহালপুর থেকে জাফরগঞ্জ এলাকাসহ যমুনা নদীতে নৌ-পুলিশ নিয়মিত টহল দিচ্ছে। এখানকার ড্রেজারের বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
প্রসঙ্গত, দীর্ঘ দিন ধরে যমুনা নদীর নিহালপুর থেকে রৌহা এলাকা পর্যন্ত ৩০টি মতো দেশীয় তৈরি ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। অপরিকল্পিতভাবে নদী থেকে বালু উত্তোলন করায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে তীরবর্তী এলাকা।
বিশেষ করে হুমকির মুখে পড়েছে জাফরগঞ্জ এলাকার নদীরক্ষা বাঁধ। বর্ষা মৌসুমে নদী ভাঙনের আশঙ্কা করছেন এলাকাবাসী। গত সোমবার এসব ড্রেজারের বিরুদ্ধে অভিযান চালায় পাটুরিয়া নৌ-থানা পুলিশ।