ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত জামাত ও জুমার উপস্থিতিকে সীমিত রাখার আদেশ শরীয়তের দৃষ্টিতে সঠিক ও যথার্থ বলে মন্তব্য করেছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী।
এতে তিনি বলেন, ইসলাম নিজের বা অন্যের ক্ষতির কারণ হওয়াকে সমর্থন করে না, বরং নিষেধ করে। সতর্কতা ও সচেতনতা ইসলামের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। যে কোনো আশু ক্ষতি থেকে সতর্ক থাকা ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ বিধান।
তিনি বলেন, বিশ্ব আজ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। আমাদের দেশও বর্তমানে বেশ ঝুঁকিপূর্ণ। বর্তমান চিত্র ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। ইতিমধ্যেই এ ভাইরাস আমাদের দেশে মহামারীর আকার ধারণ করছে। খুব দ্রুতগতিতে সর্বত্র ছড়িয়ে পড়ছে। আক্রান্তদের অনেকেই মৃত্যুবরণ করছেন। এ মুহূর্তে আল্লাহর কাছে দোয়া এবং শরীয়তের আলোকে সতর্কতা অবলম্বন ছাড়া বিকল্প নেই।
সতর্কতার জন্য সরকার উলামায়ে কেরামের সঙ্গে আলোচনা করার পরামর্শ দিয়ে বিবৃতিতে তিনি বলেন, যে কোনো ধরনের বড় জমায়েতকে নিষেধ করেছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার আদেশ দিয়েছে। জামাত ও জুমার উপস্থিতিকে সীমিত রাখার আদেশ জারি করেছে। শরীয়তের দৃষ্টিতে এ সব সতর্কতামূলক নির্দেশনা সঠিক ও যথার্থ। সরকার কর্তৃক জারিকৃত নির্দেশনাকে মূল্যায়ন করা এবং তা উত্তমরূপে গ্রহণ ও পালন করা মানবতার কল্যাণে আমাদের অপরিহার্য কর্তব্য।
তবে সতর্কতা ও ব্যবস্থা নেয়াই আমাদের একমাত্র কাজ নয়- এমনটা দাবি করে তিনি বলেন, আমাদের কৃতপাপ ও সমূহ অন্যায় থেকে আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে। ভবিষ্যতে সব অপরাধ থেকে দূরে থাকার প্রতিজ্ঞা করে খালিছ দিলে তওবা করতে হবে।
বিবৃতিতে হেফাজতে আমির বলেন, ঘরে বসে দোয়া, ইস্তেগফার ও নফল ইবাদাতে মশগুল থাকতে হবে। যেন আল্লাহ অনতিবিলম্বে আমাদের থেকে এ মহামারী তুলে নেন। নিরাপদে জীবনযাপন করার তওফিক দান করেন। আমাদের ও সারা বিশ্বকে এ মহামারী থেকে পরিত্রাণ দেন।