গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ বাদ জুমা সাভারে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ফটকের বাঁ পাশে তাকে দাফন করা হয়।
এর আগে সকালে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের পিএইচএ মাঠে সকাল ১০টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত তাকে শ্রদ্ধা জানায় সর্বস্তরের মানুষ। শ্রদ্ধা জানানো শেষে জুমার নামাজের পর দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে পিএইচএ মাঠে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে তার পরিবারের সদস্য, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অসংখ্য গুণগ্রাহী অংশ নেন।
দীর্ঘদিন ধরে কিডনিসহ বিভিন্ন রোগের কারণে চিকিৎসাধীন ছিলেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। গত মঙ্গলবার রাত ১০টা ৪০ মিনিটে ধানমণ্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে তিনি মারা যান।
বৃহস্পতিবার শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর মরদেহ রাখা হয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। এ সময় বিভিন্ন রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতারাসহ হাজারো মানুষ তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানান। একই দিনে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাকে ‘গার্ড অব অনার’ দেয়া হয়।
ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছিলেন একজন ভাস্কুলার সার্জন। ১৯৪১ সালের ২৭ ডিসেম্বর চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার কোয়েপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তার বাবা হুমায়ন মোর্শেদ চৌধুরী ছিলেন পুলিশ কর্মকর্তা। যিনি বিপ্লবী মাস্টারদা সূর্যসেনের ছাত্র ছিলেন। মা হাছিনা বেগম চৌধুরী ছিলেন গৃহিনী। ।
জাফরুল্লাহ মূলত জনস্বাস্থ্য চিন্তাবিদ। ১৯৮২ সালের ওষুধ নীতি দেশকে ওষুধে প্রায় স্বয়ংসম্পূর্ণ করে, ওই নীতি প্রণয়নের অন্যতম কারিগর ছিলেন জাফরুল্লাহ চৌধুরী। বহির্বিশ্বে তার পরিচয় বিকল্প ধারার স্বাস্থ্য আন্দোলনের সমর্থক ও সংগঠক হিসেবে।
মুক্তিযুদ্ধের সময় অক্সফোর্ড থেকে নিজের পড়াশোনা শেষ করে ভারতে এসে স্থাপন করেন বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল। স্বাধীনতার পর গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করে জনগণকে কম মূল্যে চিকিৎসা দেওয়ার কাজ করেন। জাফরুল্লাহ চৌধুরী ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করে ১৯৬৫ সালে প্রথমে লন্ডনে যান এফআরসিএস করতে।
১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ ছাত্র সংসদের প্রথম জিএস ডা. এমএ মবিনকে নিয়ে আগরতলার বিশ্রামগঞ্জের মেলাঘর এলাকায় গড়ে তুলেছিলেন প্রথম ফিল্ড হাসপাতাল- ‘বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল’।
এই সাইটে প্রকাশিত তথ্য, সংবাদ, ছবি, অডিও-ভিডিও ও যেকোনো উপাদান গবেষণামূলক কাজে ব্যবহার ও প্রদর্শন করা যাবে। সেক্ষেত্রে ‘বাংলা বাহন’ রেফারেন্স উল্লেখ করতে হবে।