তুমুল ব্যস্ত রাস্তার ধারে থাকা একটি চায়ের দোকানে ঢুকে গেলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। দোকানে ঢুকে সেখানে নিজে চা বানিয়ে খেলেন। অন্যদেরও বানিয়ে খাওয়ালেন। গতকাল বুধবার নন্দীগ্রামে এভাবেই নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেন মমতা।
মুখ্যমন্ত্রীকে নিজের দোকানে দেখে উচ্ছ্বাস সামলে রাখতে পারছিলেন না সেই চা দোকানের মালিক। মমতাকে বলেন, ‘আপনি আমার দোকানে এসেছেন, তাতেই আমি খুশি।’ মমতার অফিশিয়াল ফেইসবুক পেজেও শেয়ার করা হয়েছে ভিডিওটি। ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ায় বিজেপিরও নজর এড়ায়নি বিষয়টি। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ তৃণমূল নেত্রীকে কটাক্ষের সুরে বলেছেন, ‘চা বানালেই মোদি হওয়া যায় না।’
এদিকে শুধু চা বানানোই নয়; সামগ্রিক নির্বাচনী প্রচারণায় এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন মমতা। সাধ্যমতো পশ্চিমবঙ্গের অলিগলি চষে বেড়াচ্ছেন তিনি। গ্রামগঞ্জ-বস্তির পথে পথে পদচারণা করছেন। কথা বলছেন সাধারণ মানুষের সঙ্গে। তাদের খোঁজখবর নিচ্ছেন। এদিন নন্দীগ্রামে সভামঞ্চ থেকে মমতা বলেন, ‘মানুষে মানুষে ভাগাভাগি হয় না। নন্দীগ্রামই শিখিয়েছে সম্প্রীতি। সারা বিশ্বে নন্দীগ্রাম পৌঁছে গেছে। এখানকার মানুষের কথা আমি দিল্লিতে পৌঁছে দিয়েছি। নন্দীগ্রামে আমি কেন দাঁড়ালাম? ভবানীপুর থেকেও তো দাঁড়াতে পারতাম। শেষবার যখন এসেছিলাম সেদিন কথা দিয়েছিলাম। আপনাদের উদ্দীপনা দেখে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ভুলতে পারি নিজের নাম, ভুলব নাকো নন্দীগ্রাম। সিঙ্গুর না হলে নন্দীগ্রামের আন্দোলনের তুফান আসত না। মাথায় ছিল হয় সিঙ্গুর বা নন্দীগ্রাম থেকে দাঁড়াব। ২০০৭ সালের ১৪ মার্চ নন্দীগ্রামে গুলি চলেছিল। অসুস্থ ছিলাম, হাসপাতাল থেকে চলে এসেছিলাম। কোলাঘাটে আমার গাড়ির ওপর হামলা হলো, সেদিন কেউ ছিল না।’
নন্দীগ্রামের বাসিন্দাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা দলের সম্পদ, আপনারা বললে চলে যাব। মনোনয়ন জমা দেব না। কিন্তু আপনারা বললে আমি কাল মনোনয়ন জমা দেব। কেউ কেউ বলছে আমি নাকি বাইরের লোক। আমি বাংলার লোক, বাইরের লোক হলাম কী করে? গুজরাট থেকে যারা আসছে তারা বাংলার লোক? কেউ কেউ হিন্দু-মুসলমান করার চেষ্টা করছে। আমি হিন্দু ঘরের মেয়ে, চন্ডিপাঠ করে বাড়ি থেকে বের হই। সব ধর্মের মানুষ নিজের ধর্মকে সম্মান করেন। আমায় হিন্দুধর্ম শেখাচ্ছে? ধর্ম নিয়ে খেলবেন? খেলা হবে? কবে খেলবেন? মুখস্থ করে এসে বুলি আওড়াচ্ছেন।’
এই সাইটে প্রকাশিত তথ্য, সংবাদ, ছবি, অডিও-ভিডিও ও যেকোনো উপাদান গবেষণামূলক কাজে ব্যবহার ও প্রদর্শন করা যাবে। সেক্ষেত্রে ‘বাংলা বাহন’ রেফারেন্স উল্লেখ করতে হবে।