প্রতারণা করে গ্রাহকের ১১শ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে ই-অরেঞ্জের কোম্পানির মালিক সোনিয়া মেহজাবিন ও তার স্বামী মাসুকুর রহমানসহ তিন জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর হাকিম বাকী বিল্লাহ আসামিদের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
অপরজন হলেন চিফ অপারেটিং অফিসার আমান উল্যাহ। গত ১৭ আগস্ট প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাতের মামলা দায়েরের দিনই ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন ও তার স্বামী মাসুকুর রহমান আত্মসমর্পণ করেন। তবে আদালত তাদের জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে পাঠানোর আদেশ দেন।
পরদিন ১৮ আগস্ট সন্ধ্যায় আসামি আমান উল্যাহকে গুলশান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ২৪টি ক্রেডিট কার্ড, ১৬ লাখ টাকা এবং গাড়ি জব্দ করা হয়। এদিন মামলায় উল্লেখিত আসামিসহ ছয় জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করে সিএমএম আদালত।
এরপর মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম আসামিদের রিমান্ড আবেদন করলে গত ২৩ আগস্ট আদালত ৫ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত ১৭ আগস্ট সকালে মামলাটি দায়ের করেন ই-অরেঞ্জের প্রতারণার শিকার মো. তাহেরুল ইসলাম নামের এক গ্রাহক। প্রতারণার শিকার আরও ৩৭ জন উপস্থিত থেকে তার সঙ্গে সাক্ষ্য দেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, বাদী গত ২১ এপ্রিল পণ্য কেনার জন্য ই-অরেঞ্জে অগ্রিম টাকা দেন। তবে ই-অরেঞ্জ নির্ধারিত তারিখে পণ্য সরবরাহ করেনি। টাকাও ফেরত দেয়নি। নিজেদের ফেসবুক পেজে বারবার নোটিশ দিয়েছে। সময় চেয়েছে। কিন্তু পণ্য ও টাকা দেয়নি। সর্বশেষ তারা গুলশান-১ এর ১৩৬/১৩৭ নম্বর রোডের ৫/এ নম্বর ভবনে অবস্থিত অফিস থেকে পণ্য ডেলিভারির কথা বললেও তারা ডেলিভারি দেয়নি। এ ছাড়া তারা যে বিভিন্ন আউটলেটের গিফট ভাউচার বিক্রি করেছিল, সেগুলোর টাকা আটকে রাখায় আউটলেটগুলো ভাউচারের বিপরীতে পণ্য দিচ্ছে না। মামলায় বলা হয়, বাদীসহ প্রায় এক লাখ ভুক্তভোগীকে পণ্য দেওয়ার কথা বলে ১১০০ কোটি টাকা প্রতারণামূলকভাবে আত্মসাৎ করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
এই সাইটে প্রকাশিত তথ্য, সংবাদ, ছবি, অডিও-ভিডিও ও যেকোনো উপাদান গবেষণামূলক কাজে ব্যবহার ও প্রদর্শন করা যাবে। সেক্ষেত্রে ‘বাংলা বাহন’ রেফারেন্স উল্লেখ করতে হবে।