রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিচরণ বিস্ময়কর এবং বিচিত্র পথে বলে মন্তব্য করেছেন কণ্ঠশীলনের অধ্যক্ষ মীর বরকত।
আজ সন্ধ্যায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমীর এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে কণ্ঠশীলনের প্রযোজনায় ‘হৃদয়ে রবীন্দ্রনাথ’ কবিতা আবৃত্তির আসরে তিনি এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, “রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সুক্ষ ও ক্ষুদ্র বিষয়কে মূল্যবান করে ফুটিয়ে তুলেছেন অসাধারণ লেখনির মাধ্যমে। তাঁর সৃষ্টির কতটুকু আমরা ছুঁয়ে দেখতে পেরেছি। রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে বিস্ময়ের অন্ত নেই। নিত্যদিনের আনন্দ-বিষাদে-সংকটে- পরিত্রাণে রবীন্দ্রনাথ আজও প্রাসঙ্গিক।”
কবিগুরুকে নিবেদনে নির্বাচিত ২৩ কবির লেখা কবিতা নিয়ে ‘হৃদয়ে রবীন্দ্রনাথ’ আসরের গ্রন্থনা ও নির্দেশনায় ছিলেন মোস্তফা কামাল।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই ‘আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে বিরাজ সত্য সুন্দর’ গানের মাধ্যমে প্রদীপ হাতে শিল্পীরা মঞ্চে প্রবেশ করেন।
এই আসরটি কণ্ঠশীলনের শিল্পীরা যেভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন তা এক কথায় অনবদ্য। মিলনায়তন ভর্তি দর্শকের প্রতিক্রিয়া ছিলো উৎসাহব্যঞ্জক। মুহুর্মুহু করতালিতে ছিলো যার প্রকাশ।
কণ্ঠশীলনের সভাপতি গোলাম সারোয়ার স্বাগত বক্তব্য দেন। প্রযোজনাটিতে অন্যদের মধ্যে অংশগ্রহণ করেছেন রইস উল ইসলাম, ইলা রহমান, সালাম খোকন, মু. আব্দুল কাইয়ুম, ইসমাইল হোসেন, রওশন আরা বেগম, শেখ সামিউল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ নূর ইসলাম, মেহেরুন্নিছা সিমা, জেবুন্নেছা চুমকি, সাবিহা আকতার, তানজিনা জাহান ও অর্পিতা ঘোষ অমি।
প্রায় এক ঘণ্টার প্রযোজনাটির আবহ সংগীতে ছিলেন অসীম কুমার নট্ট। আলোক পরিকল্পনায় ছিলেন কাজী নজরুল ইসলাম। এছাড়াও মঞ্চ পরিকল্পনায় ছিলেন নামী পারভীন, পোশাক পরিকল্পনায় ছিলেন আতিয়া সিদ্দিকা কেয়া এবং প্রযোজনা অধিকর্তা ছিলেন শেখ সাজ্জাদুর রহমান।
এই সাইটে প্রকাশিত তথ্য, সংবাদ, ছবি, অডিও-ভিডিও ও যেকোনো উপাদান গবেষণামূলক কাজে ব্যবহার ও প্রদর্শন করা যাবে। সেক্ষেত্রে ‘বাংলা বাহন’ রেফারেন্স উল্লেখ করতে হবে।