সিলেটের এমসি কলেজের ঘটনায় সরকারের অবস্থান কঠোর, অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা হবে, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না— বললেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, “দেশে আইন নিজস্ব গতিতে চলছে। বিচার বিভাগের ওপর সরকারের কোন হস্তক্ষেপ নেই। দেশের মানুষ দেখেছে নিজ দলের সমর্থক কিংবা নেতারাও অপরাধী হলে সরকার আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে বাধা দেয়নি। এমসি কলেজের ঘটনায়ও শেখ হাসিনার সরকার কঠোর অবস্থানে। অপরাধী যেই হোক ছাড় পাবে না।”
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ৭৪তম জন্মদিন উপলক্ষে রবিবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের অনুষ্ঠিত ‘প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগ মোকাবিলায় মানবতার নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ওবায়দুল কাদের এ সব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটি এই আলোচনা সভা ও কৃষকদের মাঝে উন্নতমানের বীজ বিতরণ এবং বিভিন্ন হাসপাতালে মাস্ক বিতরণ কর্মসূচি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। ওবায়দুল কাদের তার সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “বিএনপি উপনির্বাচনে অংশ নেওয়ায় আমরা স্বাগত জানিয়েছিলাম। কিন্তু তাদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ এক ধরনের ষড়যন্ত্রের অংশ। নির্বাচনে প্রচার না চালিয়ে, পোলিং এজেন্ট না দিয়ে, মাঠে না থেকে অভিযোগ করে নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার বিএনপির যে পুরোনো কৌশল তাতে মরিচা ধরে গেছে।”
তিনি বলেন, “জনগণ আর বিএনপির মিথ্যাচার বিশ্বাস করে না। কর্মীরা নির্বাচন করতে চাইলেও নেতারা দিচ্ছে না। তারা জনগণের মনের কথা তো বুঝতেই পারে না, দলের কর্মীদের মনের কথাও বুঝতে পারে না। লোক দেখানো অংশগ্রহণের বিএনপির তৃণমূলের নেতা–কর্মীরা কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ওপর ক্ষুব্ধ।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “রাজনীতির মাধ্যমে মানবকল্যাণই শেখ হাসিনার রাজনীতির দর্শন। তার রাজনীতির মূলমন্ত্র হলো জনগণের জীবনমান উন্নয়ন। তিনি বাংলার মেহনতি-দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছেন।”
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন দলেন যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এ কিউ এম মাহবুব এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. মো. মফিজুর রহমান।
এই সাইটে প্রকাশিত তথ্য, সংবাদ, ছবি, অডিও-ভিডিও ও যেকোনো উপাদান গবেষণামূলক কাজে ব্যবহার ও প্রদর্শন করা যাবে। সেক্ষেত্রে ‘বাংলা বাহন’ রেফারেন্স উল্লেখ করতে হবে।