ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার দুর্গাপুর এলাকায় বেসরকারি সংস্থার (এনজিও) ঋণের কিস্তির জন্য চাপ দেয়ায় দুই কর্মকর্তাকে হত্যা করা হয়েছে। তিনমাসের ব্যবধানে তাদের হত্যার পর মুরগির খামারের পেছনে লাশ গুম করে রাখা হয়। এ ঘটনায় আটক তিন জড়িত সন্দেহভাজনের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার বিকালে লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
তারা হলেন- চুড়াইন শাখার কর্মকর্তা রাজিবুল ইসলাম ও অভিজিত কুমার মালো।
বেসরকারি সংস্থার এরিয়া ম্যানেজার রফিকুল ইসলাম জানান, গত ৫ ডিসেম্বর নিখোঁজ হয় রাজিবুল। মামলা করা হলে তদন্ত করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। এরপর গত বুধবার অভিজিত নিখোঁজ হলে আরেকটি মামলা করা হয়। এ ঘটনায় অন্য কর্মকর্তাদের মধ্যে দায়িত্বপালনে আতংকের সৃষ্টি হয়।
ঢাকার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ দক্ষিণ) মো. হুমায়ন কবির জানান, বেসরকারি সংস্থা থেকে ঋণ নেন স্থানীয় ইউসুফ আলীর স্ত্রী। এই ঋণের কিস্তির জন্য চাপ দিলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে রাজিবুলকে ডেকে টাকা দেয়ার কথা বলে হত্যা করেন তারা। এরপর অভিজিতকেও একই কায়দায় ডেকে হত্যার পর লাশ গুম করে।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহভাজন স্থানীয় জনিকে (৩০) আটক করে ঢাকা উত্তরের পুলিশের গোয়েন্দা শাখা। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার বিকালে দুর্গাপুরে অভিযান চালিয়ে ইউসুফ হোসেন ও মনিরকে আটক করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে তারাই সংঘবদ্ধ হয়ে ওই দুই কর্মকর্তাকে হত্যার পর লাশ গুম করার কথা স্বীকার করে। ভাষ্যমতে তাদের ঘটনাস্থলে নিয়ে গেলে মুরগির খামারের আবর্জনায় ঢাকা দুই স্থান থেকে লাশ উদ্ধা করা হয়।
নবাবগঞ্জ থানার ওসি শেখ সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘মামলার আসাসি করে তিনজনকে কোর্টে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কি না তা দেখা হচ্ছে।
বেসরকারি সংস্থা থেকে ঋণ নেন স্থানীয় ইউসুফ আলীর স্ত্রী। এই ঋণের কিস্তির জন্য চাপ দিলে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে রাজিবুলকে ডেকে টাকা দেয়ার কথা বলে হত্যা করেন তারা। এরপর অভিজিতকেও একই কায়দায় ডেকে হত্যার পর লাশ গুম করে।