পাশাপাশি দুটি ছবি। একটিতে দীর্ঘ জীবনের সঙ্গীকে চোখের সামনেই মৃত্যুবরণ করতে দেখতে হলো। পাওয়া যায়নি পর্যাপ্ত চিকিৎসা। শহরে নেই পর্যাপ্ত অক্সিজেন সরবরাহ। বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরে ঘুরে চিকিৎসা না পেয়ে পথেই মরে যাওয়ার ঘটনাও কম নয়। তবু যেন হুঁশ নেই নগরবাসীর।
পরের ছবিটি তার প্রমাণ। কয়েক দিন বন্ধ থাকার পর শুক্রবার দেশের মার্কেটগুলো খোলামাত্র ভিড় দেখা যায়। আবার লকডাউনের ঘোষণা দেওয়ায় অল্প সময়ে প্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে ভিড় জমানো ছাড়া উপায়ও হয়তো নেই নগরবাসীর। নিউমার্কেট, গাউছিয়ায় তেমনটাই দেখা গেল।
করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা, আক্রান্তের হার হু হু করে বাড়ছে। চিকিৎসা সেবা না পেয়ে অ্যাম্বুলেন্সেই মৃত্যুবরণ করতে হচ্ছে রোগীকে। কোনো প্রস্তুতি ছাড়াই চীরবিদায় জানিয়ে দিতে হচ্ছে জীবন সঙ্গীকে। একের পর এক মৃত্যু, কান্নায় তবু কমছে না বাজার, মার্কেটের ভিড়।
শুক্রবার সীমিত সময়ের জন্য রাজধানীর বিভিন্ন মার্কেট খুলে দেওয়ার পর দেখা গেছে সেখানে স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে ভিড় জমিয়েছেন ক্রেতারা।
সরেজমিনে রাজধানীর বিভিন্ন দোকান ও শপিংমল, গাউছিয়া ও নিউমার্কেট এলাকায় গিয়ে দেখা যায় কয়েক শ ক্রেতা-বিক্রেতা স্বাস্থ্যবিধি না মেনে কেনাকাটায় ব্যস্ত। বেশিরভাগ মাস্ক পরলেও কারও মাঝেই শারীরিক দূরত্ব ছিল না। গাউছিয়া মার্কেটে পরিবার নিয়ে আসা আরমান হোসেন বলেন, লকডাউনে বাইরে বের হওয়া হয়নি। আজ মার্কেট খোলা হয়েছে জেনে প্রয়োজনীয় কিছু জিনিসপত্র কিনতে এসেছি।
ঢাকা মহানগর দোকান মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শহীদ উল্লাহ দেশ রূপান্তরকে বলেন, পরিস্থিতি ভালো। ক্রেতারা খুশি, ব্যবসায়ীরা খুশি। স্বাস্থ্যবিধি মানা হয়নি জানতে চাইলে তিনি বলেন, মিথ্যা কথা। আসলে ৯০ ভাগ লোকজনই স্বাস্থ্যবিধি মেনে তার দোকান খুলেছেন।
ভিড় ছিল বইমেলায়ও। শুক্রবার ছুটির দিনে বিক্রি ভালো বলেও খবর।
এ দৃশ্যের উল্টোপিঠে রয়েছে যন্ত্রণা ও কষ্ট। করোনা মাহামারি নিয়ন্ত্রণে মাস্ক ব্যবহার আর সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ক্ষেত্রে অবহেলা বাড়িয়ে দিচ্ছে সংক্রমণ। করোনাভাইরাসে (কভিড-১৯) ২৪ ঘণ্টায় ৬৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে ৭ হাজার ৪৬২ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এই সাইটে প্রকাশিত তথ্য, সংবাদ, ছবি, অডিও-ভিডিও ও যেকোনো উপাদান গবেষণামূলক কাজে ব্যবহার ও প্রদর্শন করা যাবে। সেক্ষেত্রে ‘বাংলা বাহন’ রেফারেন্স উল্লেখ করতে হবে।