প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের অর্থনৈতিক ক্ষতি মোকাবিলায় বাংলাদেশ ব্যাংকের এক্সপোর্ট ডেভলপমেন্ট ফান্ডের (রফতানি উন্নয়ন তহবিল বা ইডিএফ) আকার বাড়িয়ে ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। একই সঙ্গে ঋণের সুদহারও কমানো হয়েছে। ফলে এখন থেকে এ তহবিল থেকে মাত্র দুই শতাংশ সুদে ঋণ পাবেন রফতানিকারকরা।
মঙ্গলবার ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা ও নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করেছে।
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের বিশ্ব বাজারে প্রতিযোগিতায় সক্ষমতা বাড়ানো এবং রফতানিকারকদের সহযোগিতা করতে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত প্যাকেজের আওতায় এ সুবিধা দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সার্কুলারে বলা হয়, ২০১৭ সালের নির্দেশনা অনুযায়ী এক্সপোর্ট ডেভলপমেন্ট ফান্ড (ইডিএফ) এর ঋণের বিপরীতে বাংলাদেশ ব্যাংকের সুদের হার ছিল লাইবর + ১ শতাংশ। এক্ষেত্রে গ্রাহকদের কাছ থেকে লাইবর (লন্ডনের আন্তঃব্যাংক অফার রেট) + ২ দশমিক ৫০ শতাংশ মুনাফা রাখত ব্যাংকগুলো। তবে ২০১৯ সালে এই সুদহার পরিবর্তন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি বছরের জুন পর্যন্ত গ্রাহক পর্যায় থেকে ইডিএফের সুদের হার নির্ধারণ করা হয় লাইবর + ১ দশমিক ৫ শতাংশ।
করোনা ভাইরাসের কারণে ফান্ডের আকার ও সুদহারে পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ইডিএফের আকার ৩ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার থেকে বাড়িয়ে ৫ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা হয়েছে। পাশাপাশি কমানো হয়েছে সুদের হার। পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত ইডিএফের ঋনের বিপরিতে লাইবর + ১ শতাংশ সুদ রাখবে বাংলাদেশ ব্যাংক। পাশাপাশি আমদানি-রফতানির সঙ্গে যুক্ত ব্যাংকের এডি শাখাগুলো গ্রাহক পর্যায় থেকে ২ শতাংশ মুনাফা করতে পারবে।
এর আগে গত ৫ এপ্রিল করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে দেশে সম্ভাব্য অর্থনৈতিক ক্ষতি মোকাবিলায় ৫টি প্যাকেজের আওতায় মোট ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। যা জিডিপির ২ দশমিক ৫২ শতাংশ।
এর আগে গত ২৫ মার্চ প্রধানমন্ত্রী জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী রফতানিমুখী শিল্পের শ্রমিক কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজে ঘোষণা দিয়েছিলেন। এ বিষয়ে ইতিমধ্যে সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
এই সাইটে প্রকাশিত তথ্য, সংবাদ, ছবি, অডিও-ভিডিও ও যেকোনো উপাদান গবেষণামূলক কাজে ব্যবহার ও প্রদর্শন করা যাবে। সেক্ষেত্রে ‘বাংলা বাহন’ রেফারেন্স উল্লেখ করতে হবে।